পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের চিন্তাভাবনার প্রতিফলন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ তে
মতিয়ার রহমান : মহামতি গোপাল কৃষ্ণ গোখলে একসময় বলেছিলেন হোয়াট বেঙ্গল থিংস টুডে ইন্ডিয়া থিমস টুমোরো অর্থাৎ বাংলা আজ যা ভাবে ভারত ভাবে আগামীকাল।
গোকলের এই কথাটির যথার্থতা বারবার প্রমাণিত হয়েছে বাংলার কৃতি সন্তান কবি সাহিত্যিক দার্শনিক চিন্তাবিদদের কওলে চিন্তা চেতনায় এবং কাজে। পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রাক্তন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তথা বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ডঃ আবু তাহের কামরুদ্দীন ২০১৯ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে, লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনতে, শিক্ষার প্রতিশ্রুতি পূরণে সক্ষম আরো টেকসই ,কার্যকর ও
অন্তর্ভুক্তিমূলক লাইভ স্কিল এডুকেশন অর্থাৎ জীবন শৈলী শিক্ষার কথা ভেবেছিলেন এবং সেই মতো কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন আর আজ ২০২৪ সালে এসে আমরা দেখছি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ তে সেই জীবনশৈলী শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে তা কার্যকর করার নিদান দেওয়া হচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান স্বরূপ নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের শিক্ষা এবং নেতৃত্ব গড়ে ওঠার জন্য আবু তাহের কামরুদ্দিন মহাশয়ের সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার প্রয়াস এবং প্রয়োগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।তিনি মনে করেন জীবন কুশলতা বা জীবন দক্ষতা যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারলে এক সময়ে ছাত্র-ছাত্রীরা সমস্যা কেবল মোকাবিলা করতে পারবে তা নয় বৃহত্তর জীবন ক্ষেত্রে ও নিজেকে সঠিক জায়গায় স্থাপন করা ও তাদের জন্য সম্ভব হবে ।জীবনশৈলী শিক্ষা প্রকৃত অর্থে মূল্যবোধ সম্পৃক্ত মানুষ হয়ে ওঠার পথে সন্ধান দেয়। কোভিড মহামারী তে স্কুল মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় অভাবনীয় ক্ষতি সাধন হয়েছে ।তাদের আচরণগত পরিবর্তন ,মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা এবং নিয়ম তান্ত্রিক জীবন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। তাই করোনা মহামারী পরবর্তী কালে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এই জীবন শৈলীর শিক্ষা খুবই কার্যকর হবে এমনটা মনে করেন পর্ষদ সভাপতি।জীবন শৈলী বিষয়টিকে মাদ্রাসা স্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য ইউনিসেফ এবং বিক্রমশিলার সহায়তায় পর্ষদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে বেশ কয়েকটি কর্মশালা হয়েছে। মুসলিম সংখ্যালঘু অধুসৃত মুর্শিদাবাদ জেলার মাদ্রাসা গুলোতে এর পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে এবং অভাবনীয় সাফল্য মিলেছে। ২২ শে ফেব্রুয়ারি পর্ষদের তত্ত্বাবধানে ইউনিসেফ এবং বিক্রমশিলার কর্মকর্তা এবং কয়েকটি মাদ্রাসার গুটি কয়েক শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন হয়। কর্মশালায় সারাক্ষণ পাশে থেকে যিনি আগামীতে এই লাইফ স্কিলড এডুকেশনে দিশা দেখিয়ে কাজকর্মের সহায়তা করেন তিনি হলেন পর্ষদের উপসচিব আজিয়ার রহমান। এদিন এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন unicef এর বিশিষ্ট প্রতিনিধি ভারতিকা চৌধুরী বিক্রমশিলার ম্যানেজারঅর্পিতা ঘোষ, শামীমা, সিনিয়র ম্যানেজার মোস্তাফিজুর ,শিক্ষক নুরুল হক, আরাফাত আলী মিদ্ধে,নাজমুল আলম, আহমেদ সাকির, মতিয়ার রহমান