রাজীব কুমারের সফরের পরেও শান্তি ফিরল না, আবার নতুন করে অশান্ত হল সন্দেশখালি!
বাংলার জনরব ডেস্ক : সন্দেশখালি ফের অশান্ত হয়ে উঠলো। গতকাল বুধবার সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার পর রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে শান্তি ফিরবে এবং সন্দেশখালীর মানুষ সুবিচার পাবে। একইসঙ্গে তিনি এটাও বলেছিলেন যারা অপরাধী তারা শাস্তি পাবে। কিন্তু রাজীব কুমারের সফরের ১২ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই আবার অশান্ত হয়ে উঠলো সন্দেশখালি।
বৃহস্পতিবার সকালেই এরা গ্রামবাসীরা দখল করে নেয় শাহজাহান বাহিনীর ‘দখল’ করা মাঠের পুনর্দখল নিয়েছিলেন মানুষ। বেলা গড়াতেই শাহজাহানের ভাইয়ের মাছের ভেড়ির আলাঘরে জ্বলল আগুন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আগুন ধরিয়ে দিয়েছে শাহজাহানের অনুগামীরাই। আবার গ্রামবাসীদেরই অন্য একটি অংশের দাবি, আগুন দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
সকালে শাহজাহান অনুগামীদের ‘দখল’ করে রাখা ঋষি অরবিন্দ মিশন ময়দানে ঢুকে পড়েন গ্রামবাসীরা। সীমানা প্রাচীরে শাহজাহানের নাম লেখা ছিল। তাতে চুনকাম করে দেন। পুলিশ প্রশাসন গ্রামের কচিকাঁচাদের মধ্যে ফুটবল, জার্সি বিলি করেন। মাঠেই শুরু হয়ে যায় খেলাধুলো। তার পরেই খবর পাওয়া যায়, সন্দেশখালির ঝুপখালিতে শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের মাছের ভেড়ির দিকে গ্রামবাসীরা যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজুদ্দিনের ভেড়ির আলাঘর থেকে পুড়ে খাক। ধোঁয়া বেরোচ্ছে।
তবে কে আগুন দিল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, শাহজাহানের অনুগামীরাই আলাঘরে আগুন দিয়ে পালিয়েছে। শাহজাহান বাহিনী পালানোর আগে গ্রামবাসীদের ‘দেখে নেব’ বলে শাসিয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। আবার, অন্য একটি অংশের দাবি, ক্ষুব্ধ হয়ে আগুন দিয়েছেন গ্রামবাসীরাই। তাঁদের দাবি, শুধু শাহজাহানই নয়, তাঁর ভাই সিরাজুদ্দিনও এলাকার বাসিন্দাদের জমি কেড়ে নিতে সিদ্ধহস্ত। জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করা সিরাজুদ্দিনের ‘বাঁ হাতের খেল’ বলেও দাবি গ্রামবাসীদের ওই অংশের। হাওয়া বদলের ইঙ্গিত পেয়ে তাই গ্রামবাসীরা নিজের জমি ফেরাতে পথে নেমেছেন।
সব মিলিয়ে রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তা সন্দেশখালি সফর করার পরও শান্তি ফিরল না। এতে আর যাই হোক রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। শেখ শাহজাহান যেমন গ্রেফতার হয়নি তেমনি এলাকা জুড়ে আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা শুরু হয়েছে তাও বন্ধ করা যায়নি।