জেলা 

সন্দেশখালির মানুষের পাট্টা ও জমির রেকর্ড বিষয়ে উঃ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে বৈঠক

শেয়ার করুন

মানুষের পরিষেবা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য : নারায়ন গোস্বামী

রোটেশনালি পাট্টা ও রেকর্ড সংক্রান্ত কাজ করে চলেছে জেলা প্রশাসন : কর্মাধ্যক্ষ ফারহাদ

নিজস্ব প্রতিনিধি : পশ্চিমবঙ্গের জমির পরচা বা রেকর্ড(Land records in West Bengal) সেই নথি যাতে উল্লেখ করে রাজ্যের জমির মালিকানা, দখল এবং অন্যান্য বিবরণ। রাজস্ব বিভাগ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ এবং জরিপ ও বন্দোবস্ত বিভাগের মাধ্যমে সরকার এই রেকর্ডগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করে।পশ্চিমবঙ্গের জমির রেকর্ডে জমির অবস্থান, আয়তন এবং সীমানা, সেইসাথে জমির মালিকদের এবং সম্পত্তিতে বিদ্যমান কোনো দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। মালিকানা, দখল, বা অন্য কোন প্রাসঙ্গিক বিবরণের পরিবর্তনগুলি প্রতিফলিত করার জন্য রেকর্ডগুলি নিয়মিত আপডেট করা হয়।সম্পত্তি লেনদেন, ভূমি বিরোধ এবং ট্যাক্সেশন সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভূমি রেকর্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গে, জমির রেকর্ড জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য, এবং যে কেউ নামমাত্র ফি প্রদান করে রেকর্ডের একটি অনুলিপি পেতে পারেন। রাজ্য সরকার বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা চালু করেছে।

উঃ ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি কাণ্ড রাজ্য রাজনীতির আলো কেড়ে নিলেও ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে দলীয় স্তর থেকে দু’টি তদন্ত কমিটি গড়েছিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। আবার ওই এলাকায় যে সব গ্রামবাসী জমির পাট্টা পেয়েছেন অথচ ভূমি দফতরে রেকর্ড করা হয়নি এবার সেসব শুরু করতে উদ্যোগী হল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত উঃ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ।

Advertisement

রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনে জেলা সভাধিপতির নেতৃত্বে সন্দেশখালির পাট্টা পাওয়া গ্রামবাসীরা উপস্থিত হন।সেখানে পাট্টা পাওয়া জমির রেকর্ড করা হবে। যাঁরা রেকর্ড আগে করতে পারেননি তাঁদের। তবে পাট্টা জমির রেকর্ড করা নিয়ে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘জেলা ভূমি দফতরের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁদের জমির রেকর্ড করা হবে। জেলাশাসক সহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির দু’টি ব্লকেই যাব। সেখানে জমি সংক্রান্ত কোনও অনিয়ম আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে।’

এই বিষয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। আমরা বলেছি, ইজারার টাকা ফেরত না পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব দলের।’

উল্লেখ্য সন্দেশখালি এলাকার ৬০ জন উপভোক্তাদের নিয়ে তথ্য যাচাই পরবর্তী জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানান মানুষের জন্য কাজ করতে বাংলা সরকার বদ্ধপরিকর তাই যেকোনো মূল্যে সাধারণ মানুষের পরিষেবা প্রদান করাই লক্ষ্য। বিরোধীরা কুৎসা অপপ্রচার করে বেশি দিন মানুষকে বোকা বানাতে পারেনা। জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়,উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী,জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ন গোস্বামী,অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) সহ সমস্ত আধিকারিকদের তৎপরতায় মানুষের জন্য পাট্টা ও রেকর্ড এর কাজ বছরভর করা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র সন্দেশখালি নয় পাশাপাশি জেলার প্রতিটি ব্লক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল জেলা ভূমি দপ্তর।তাই রোটেশনালি এই জাতীয় কাজের অঙ্গ হিসাবে প্রতিনিয়ত কর্মসূচি হয়ে থাকে। জয়েন ডিরেক্টর ডি এল এন্ড আর ও উত্তর চব্বিশ পরগনা শ্রী অনুপম দাস মজুমদার বলেন রেকর্ড ও একটা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এই বৈঠক থেকে নেওয়া হয়েছে এবং সঠিক তথ্য যাচাই এর মধ্যে দিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই উপযুক্ত বন্দোবস্ত হবে বলে তিনি জানান। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালি ব্লকের আর ও অভিজিৎ মুখার্জি,আধিকারিক ফরিদ হাসান মোল্লা, সন্দেশখালি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মহেশ্বর সরদার,সদস্য অষ্টমী সরদার,সদস্য শ্রীদাম হাওলী, সঞ্জয় মন্ডল প্রমূখ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ