কলকাতা 

সন্দেশখালি কান্ডের পরেই হারিয়ে যাওয়া গুরুত্ব ফিরে পেলেন সুপ্রতিম, ভাস্কর

শেয়ার করুন

সেখ ইবাদুল ইসলাম : মাত্র ১৭ দিন আগে দক্ষিণবঙ্গের এডিজির বদল হয়েছিল অর্থাৎ ৩১শে জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গের এডিজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আইপিএস সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। ১৭ দিন কাটতে না কাটতেই বদল করা হলো এই আইপিএস অফিসারকে। বিধাননগর কমিশনারেটে যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়া প্রখ্যাত আইপিএস বাঙালি সন্তান সুপ্রতিম সরকারকে কার্যতো তৃণমূল সরকার ট্রাফিকের এডিজি করে ব্রাত্য করে দিয়েছিল। সেই ব্রাত্য অফিসারই আবার নতুন করে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি পদে দায়িত্ব পেলেন। যা এক কথায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসাবে রাজ্য রাজনীতিতে চিহ্নিত হবে। মাত্র ১৭ দিনের মাথায় দক্ষিণবঙ্গের এ ডিজিকে বদল করা হবে এটা কল্পনাতিত ছিল।

আবার ব্রাত্য হয়ে যাওয়া অফিসার সুপ্রতিম সরকারকে নতুনভাবে তৃণমূল সরকার গুরুত্ব দেবে এটাও আমাদের কাছে কল্পনা ছিল। কিন্তু ওই যে সন্দেশখালি রাজনীতি লোকসভা ভোট। একটা বড় বালাই তাই মানুষের কাছে নিজেদের জনপ্রিয় তাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই বঙ্গ সন্তান সুপ্রতিম সরকারের উপরেই আস্থা রাখলেন রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়। বারাসাত ডিআইজি করে যাকে নিয়ে আসা হলো তিনিও আরেক বঙ্গ সন্তান।

Advertisement

বারাসাত ডিআইডি পদে কয়েক সপ্তাহ আগেই বসেছিলেন সুমিত কুমার। যোগ্য অফিসার নিঃসন্দেহে কিন্তু সন্দেশখালি ঘটনা সুমিত কুমারকে সরিয়ে দিতে বাধ্য করল তৃণমূল সরকারকে। বারাসাত রেঞ্জের ডিআইজি করা হলো ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে। সুপ্রতিম সরকারের মত ভাস্কর মুখোপাধ্যায় যথেষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন অফিসার।

তবে কথা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই সন্দেশখালীর যে আঘাত তৃণমূল সরকারের উপর এসেছে তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তো বটেই 2026 এর বিধানসভা নির্বাচনেও সন্দেশখালীর প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়তে পারে বলে আমাদের মনে হয়েছে। এখন দেখার বিষয় দক্ষিণবঙ্গের এডিজি হিসাবে সুপ্রতিম সরকার এবং বারাসাত রেঞ্জের ডিআইজি হিসাবে ভাস্কর মুখোপাধ্যায় তৃণমূল সরকারের ভাবমূর্তি ফেরাতে কতটা সফল হয়?


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ