কলকাতা 

বিধানসভায় গন্ডগোল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী ?

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : গতকাল বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন সময় ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয় বা কেটে দেয়া হয় বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তাঁর অভিযোগ, বিধানসভায় ক্যাডার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের নামে স্পিকারের এলাকার ওই ক্যাডাররাই বিজেপির (BJP) উপর আক্রমণ করেছেন। সেইসঙ্গে শুভেন্দু খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করলেন। এদিকে, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের সময় মাইক বিভ্রাটের ঘটনার পর আজ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল বিধানসভার প্রেস কর্নার (Press Corner), মিডিয়া সেন্টার। বিজেপি সাংবাদিক বৈঠক করতে গেলে দেখা যায়, প্রেস কর্নার তালাবন্ধ। তখন বিরোধী দলনেতার ঘর থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করা হয়।

Advertisement

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু হামলাকারী হিসেবে ১০ জনের নাম জানান। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিধানসভার সচিবকে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ”আমরা আক্রান্ত। খুন হওয়ার আশঙ্কা করছি। এরা সব চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, নিরাপত্তা রক্ষীর নামে এদের নেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় পার্টির ক্যাডার ঢুকিয়েছে। ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষী সন্দীপ চন্দ, পিয়ালি বল, জুঁই দে, আর গুল দীপক, শেখ বাপি, দীনেশ মৃধা, সুপ্রিয় সরদার, অয়ন দাস, তন্ময় সাহা, সফিউদ্দিন সরদার। এই ১০জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এদের বিরুদ্ধে এফআইআর করব।” শুভেন্দুর এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল। পরিষদীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পালটা দাবি, কেউ তাঁদের ধাওয়া করেননি। বাজেটে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণার পর সরকারি কর্মীদের একাংশ বিধানসভার বাইরে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন।

বৃহস্পতিবারের গন্ডগোলের জেরে এদিন স্পিকার প্রেস কর্নার বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেন। জানান, তাঁর অনুমতি ছাড়া কোনও সদস্য প্রেস মিট করতে পারবেন না। অধিবেশন শেষ হয়ে গেলে আগামী দিনে ৪৫ মিনিটের বেশি প্রেস রুমে থাকতেও পারবেন না কেউ। এনিয়ে স্পিকারের সঙ্গে শুভেন্দুর বাকবিতণ্ডাও হয়। সূত্রের খবর, স্পিকারকে লক্ষ্য করে শুভেন্দু বলেন, ”আপনি যা খুশি করুন, দেখুন আমি কী করতে পারি।” পালটা স্পিকারের জবাব, ”আপনি কী করতে পারেন আমি জানি। কিন্তু আমি কী করতে পারি, আপনি জানেন না।” শুভেন্দু পরে আবার বলেন, ”আমায় ৫ মাস সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছিল। কোর্টে গিয়েছিলাম। কিছু করতে পারেনি।”


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ