ইডি অফিসারের পরিচয় দিয়ে বিয়ের চেষ্টা ! কিভাবে ধরা পড়লো নকল ইডি অফিসার? তারপর….
বাংলার জনরব ডেস্ক : বাংলায় প্রতারণের এক নয়া অধ্যায় শুরু হয়েছে ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে আই এ এস কিংবা আই পি এস সেজে মানুষকে প্রতারণা করতে দেখা যাচ্ছিল কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি সিবিআই অথবা ইডি আধিকারিক বলে প্রতারণা করা হচ্ছে। এমনই একজন নকল ইডি আধিকারিককে হাতেনাতে পাকড়াও করলেন বাগদত্তার ভাই।
কলকাতার সল্টলেকে অবস্থিত সিজিও কমপ্লেক্স এ ওই নকল আধিকারিককে হাত-পায়ে বেঁধে অফিসের বাইরে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। ঐ প্রতারক যুবকের বাড়ি সোনারপুর নাম প্রদীপ সাহা।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন বলে প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যে তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সেই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ প্রদীপ নিজেকে ইডি অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। আর বারবার টাকা চাওয়ার কারণেই সন্দেহ হওয়ার ফলেই সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন তরুণীর ভাই। আর সেখানে যেতেই বিষয়টি সামনে চলে আসে। তবে সন্দেহ হওয়ায় মঙ্গলবার প্রদীপের হাত-পা বেঁধে সটান সিজিওতে হাজির হন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। পরিচয় ফাঁস হতে সিজিও-র মূল ফটকের বাইরে তাঁকে মারধর করা হয়।
অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি বিরাটিতে। প্রায় ন’মাস আগে শাদি ডট কমের ওয়েবসাইটে তাঁদের বাড়ির মেয়ের সঙ্গে আলাপ জমান প্রদীপ। নিজেকে ইডি অফিসার বলেও পরিচয় দেন। এর পর দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা এগোয়। বিয়ের কার্ডও ছাপা হয়ে গিয়েছিল। তবে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই প্রদীপের দাবি দাওয়া বাড়ছিল বলে অভিযোগ তরুণীর পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, কয়েক ধাপে তাঁদের কাছে প্রায় চার লক্ষ টাকা নেন প্রদীপ। এ ছাড়াও, তিনি বার বার ওই তরুণীর থেকে টাকা চাইতেন এবং নিতেন। দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে তাঁর শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে বলে চিকিৎসার নাম করেও প্রদীপ টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা।
তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, প্রদীপের টাকার চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় তাদের সন্দেহ হয়। প্রদীপের সম্পর্কে খোঁজ নিতে সোমবার সরাসরি সিজিও পৌঁছে যান তরুণীর ভাই দেবজিৎ সাহা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, প্রদীপ ওখানে কাজ করেন না। এর পরেই প্রদীপের হাত-পা বেঁধে তাঁকে নিয়ে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে আসে তরুণীর পরিবার। সেখানে তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ইডির ভুয়ো কার্ড এবং ‘ইডি’ লেখা জ্যাকেট উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তরুণীর ভাইয়ের কথায়, ‘‘ইডি অফিসার পরিচয় দেওয়ার পর দিদির সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। দিদির কাছ থেকে প্রায়ই টাকা নিত। ল্যাপটপও বিক্রি করবে বলেছিল। তবে সন্দেহ হওয়ায় সোমবার আমি খোঁজ নিতে আসি। নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে জানান যে, প্রদীপ এখানে কাজ করে না। আমি আসছি কোনও ভাবে জানতে পেরে আমার আগেই ইডি দফতরে এসেছিল প্রদীপ। কিন্তু ওকে এখান থেকে বার করে দেওয়া হয়।’’