মুর্শিদাবাদের হরিহর পাড়ার সরষে ক্ষেত থেকে উদ্ধার ক্ষতবিক্ষত কিশোরীর দেহ, চাঞ্চল্য এলাকায়
বাংলার জনরব ডেস্ক ; বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল কিশোরী, আর সেই কিশোরীর লাশ পাওয়া গেল সর্ষের ক্ষেত থেকে ক্ষতবিক্ষত শরীর দুচোখ উপড়ে নিয়েছে হায়েনারা। ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া। পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটকও করেছে পুলিশ।
দুদিন আগে রাত আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই ওই কিশোরী ১০ হাজার টাকা নিয়ে। আত্মীয় বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি। যে ঘরে ওই কিশোরী থাকত, সেখানে একটি চিরকুট মেলে। তাতে লেখা, ‘চিন্তা কোরো না’। শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে নিখোঁজ ওই কিশোরীর দেহ মিলল।
অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়েটি। আত্মীয় বা বন্ধু কারও বাড়িতে খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। শনিবার দুপুরে হরিহরপাড়া থানা থেকে ফোন আসে ওই কিশোরীর বাড়িতে। জানানো হয়, ওই কিশোরীর দেহ মিলেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে বলে খবর পায় তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ শনাক্ত করা হয়। তার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলেই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরীর দুটো চোখই উপড়ে নেওয়া হয়েছে। তার সারা শরীরে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। গলায় ফাঁসের দাগ। ওই অবস্থাতেই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি দেহ নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে।
পরিবারের দাবি, স্থানীয় এক তরুণ বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশের কাছে ওই তরুণের নামও জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যেরা। ইতিমধ্যেই পুলিশ একজনকে আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এই ঘটনা নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু এখন বলা যাবে না।’’