কৃষ্ণনগর হেরিটেজ ওয়াক
নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ (মঙ্গলবার) নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগর এক অন্যরকমের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলো।‘হেরিটেজ ওয়াক কৃষ্ণনগর’ (দ্বিতীয় বর্ষ) আয়োজিত হতে দেখা গেল এদিন। সকাল ৯টায় কৃষ্ণনগরের বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের পথ চলা শুরু হয়। দিনটি ছিল ছুটির। নেতাজীর জন্ম দিবসকেই হেরিটেজ ওয়াকের জন্য বেছে নেওয়া হয়। এদিন সকাল থেকে আঞ্চলিক ইতিহাস অনুসন্ধানে বেরিয়ে পরেছিল একদল মানুষ— যার মধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই অধিক, সঙ্গে গুটিকয় বিশিষ্টজন।
প্রতি বছরই এই ‘হেরিটেজ ওয়াক কৃষ্ণনগর’-এর আয়োজন করা হয়। এর প্রধান উদ্যোক্তা হলেন আঞ্চলিক ইতিহাস অনুসন্ধানে নিয়োজিত লেখক দীপাঞ্জন দে। তিনি চাপড়া বাঙ্গালঝি মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। সেই সূত্র ধরে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ‘হেরিটেজ ওয়াক কৃষ্ণনগর’-এ অংশগ্রহণ করে। তাদের দলের নাম দেওয়া হয় ‘দীপাঞ্জন দে ও সঙ্গীরা’। তারা এদিন প্রায় ১৫টি ঐতিহাসিক স্থান পরিভ্রমণ করেন, যার মধ্যে ছিল— ঘূর্ণির মৃৎশিল্প, বঙ্গের গৌরব ব্যারিস্টার মনোমোহন ঘোষের নিবাস কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল, এবছর ১৭৫ বর্ষে পদার্পণ করা এ ভি হাইস্কুল, কৃষ্ণনগর ব্রাহ্মসমাজ, নহবতখানা, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি, রামতনু লাহিড়ীর বাড়ি, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মভিটে, রানিকুঠি, কৃষ্ণনগর ক্যাথিড্রাল, খ্রিস্ট মন্দির, অঞ্জনা নদী, প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ, গ্রেস কটেজ, কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ প্রভৃতি। ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪-এ কৃষ্ণনগরবাসী দেখল দ্বিতীয় বর্ষের হেরিটেজ ওয়াক।
এই বছর হেরিটেজ ওয়াকে কলকাতার ‘উড়িধান’ পত্রিকার সম্পাদক স্বপন বিশ্বাস, লেখিকা মমতা বিশ্বাসের মতো একাধিক বিশিষ্টজনও অংশগ্রহণ করেন। তারা জানান যে, যখনই তারা জানতে পারেন এই রকম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, তখনই তারা এতে সামিল হওয়ার সুযোগটি আর ছাড়তে চাননি। ‘হেরিটেজ ওয়াক কৃষ্ণনগর’-এর মূল কাণ্ডারি দীপাঞ্জন দে বলেন, “এত জন মানুষ হেরিটেজ ওয়াক কৃষ্ণনগরের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন বলে ভালো লাগছে। প্রতি বছর আমরা এইভাবে বার হই ঐতিহ্যের অনুসন্ধানে। সকলে মিলিত হলে আগামীতেও আমাদের এই প্রয়াস জারি থাকবে”।