রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন খোলা থাকবে এমসের আউটডোর, নাগরিক সমাজের তীব্র সমালোচনার মুখে পিছু হঠলো কেন্দ্র!
বাংলার জনরব ডেস্ক : রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে বাইশে জানুয়ারি সোমবার কেন্দ্র সরকারের দফতরে অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা করার যে নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র সরকার তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাধে। বিশেষ করে, হাসপাতাল এমসের মত হাসপাতালের অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়ে কেন্দ্র সরকার। প্রশ্ন উঠেছে অতি মারির আবহাওয়া দেশের সব কিছু যখন লকডাউনের আওতায় পড়েছিল ঠিক তখনই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো খোলা ছিল এবং সেটা ২৪ ঘন্টায় খোলা ছিল।
অথচ রাম মন্দিরের উদ্বোধনের সময় কেন অর্ধ দিবস ছুটি দেওয়া হবে তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ নাগরিকরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু ঘটেছে কেন্দ্র সরকার। রবিবার নতুন একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হল, সোমবার মন্দির উদ্বোধনের দিন হাসপাতালের আউটডোর বা বহির্বিভাগ অন্য দিনের মতোই চালু থাকবে। অর্থাৎ, আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করানো রোগীরা ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। হাসপাতালের সমস্ত বিভাগীয় প্রধানকে নয়া এই নির্দেশিকা তাঁদের অধস্তনদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোগীদের যত্নের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে কথা স্মরণে রেখে আউটডোর বিভাগ খোলা থাকবে।”
শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘‘২২ জানুয়ারি, সোমবার অযোধ্যায় রামালালার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উদ্যাপন হবে গোটা দেশে। সেই উপলক্ষে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে ছুটি ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এমসের সকল কর্মীদের জ্ঞাতার্থে জানানো হচ্ছে, ২২ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই প্রতিষ্ঠান। সমস্ত কেন্দ্রের প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, শাখা দফতরগুলিকে কর্মীদের বিষয়টি জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’’
তবে বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও জানানো হয়েছিল যে, হাসপাতালে আপৎকালীন পরিষেবা চালু থাকবে। সেখানে বলা হয়, ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক মাস দিল্লি এমসে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সে কারণে সমস্ত আপৎকালীন চিকিৎসা পরিষেবা চালু থাকছে।তবে শনিবারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দলগুলি তো বটেই, চিকিৎসকদের একাংশ এর সমালোচনায় সরব হন। ওই বিজ্ঞপ্তির পর রাজনৈতিক তরজার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের আলোচনায় উঠে এসেছিল কোভিড পরিস্থিতির কথাও।