জেলা 

বিদায় সংবর্ধনায় শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রদেরও চোখে জল : রাইচরণ বিদ্যাপীঠ-এর ছাত্রপ্রিয় শিক্ষক সঙ্গীত হালদারের অবসরগ্রহণ

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : আজকের দিনেও সমাজে শিক্ষকের স্থান কোথায় তা আর একবার প্রমাণ করে দিলেন মেলিয়া রাইচরণ বিদ্যাপীঠ-এর একজন শিক্ষক। শ্রী সঙ্গীত হালদার তাঁর সুদীর্ঘ ৩৫ বছরের কর্মময় স্কুল জীবন শেষ করে অবসর নিয়েছিলেন ৩১ অক্টোবর ২০২৩ সালে। সেই সময় বিদ্যালয় ছুটি থাকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে তাই বিদায় সম্বর্ধনার আয়োজন করেছিল। শ্রী হালদার ছিলেন বিদ্যালয়ের একজন বিজ্ঞানের শিক্ষক।

তাঁর বিদায় সম্বর্ধনা সভায় হাজির ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক ও শিক্ষিকাগন, ছিলেন প্রাক্তন ও বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সদস্যগণ, অসংখ্য প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী।

Advertisement

তিনি ছিলেন যথার্থই একজন মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁর অসংখ্য প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী আজ শুধুমাত্র রাজ্যে বা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে নেই, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেমন ফ্রান্স, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ইত্যাদি দেশেও ছড়িয়ে রয়েছেন।

এদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় দুপুর ১টায় উদ্বোধনী নৃত্যের মাধ্যমে। ‘দেখো আলোয় আলোয় আকাশ’ গানটির সাহায্যে নৃত্য পরিবেশন করে বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী দীপিকা মণ্ডল। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন ত্রিশঙ্কু নস্কর, যিনি এখন বিদ্যালয়ের বরিষ্ঠ শিক্ষক। ভার- প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাবুদ্দিন মণ্ডল বলেন, শ্রী সঙ্গীত হালদারের সাথে ওনার পরিচয় ২০০১ সাল থেকে। বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে উনি তাঁকে সর্বোতভাবে সাহায্য করেছিলেন।

এরপর বর্তমান ছাত্রীরা ফুল ও কলম দিয়ে বরণ করে নেয় প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের । সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী স্নেহময় ঘটক জানান শ্রীহালদার প্রথমে ছিলেন তাঁর সহযাত্রী, পরে হয়ে যান সহকর্মী। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সুরজিৎ নস্কর,সলিল মুখার্জী, প্রাক্তন ছাত্রী বাসবদত্তা ব্যানার্জী,অর্চনা মণ্ডল তাঁদের প্রিয় স্যারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

সবশেষে বিদায়ী শিক্ষক ওনার ভাষণে জানান তিনি চিরকাল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর কাজে যুক্ত ছিলেন এবং অবসরের পরেও সেই ছাত্র গড়ার কাজে যুক্ত থাকবেন। করোনার সময় তিনি দীর্ঘদিন সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে পারেননি বলে তিনি মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন এবং তাঁকে সুস্থ করে তুলে ছিলেন তাঁর এক স্নেহের ছাত্র। যে আজ ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত।অনুষ্ঠানের শেষে সবাই ভারাক্রান্ত মনে যে যার বাড়ি ফিরে যান।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ