কলকাতা 

” রশিদ একজন অসাধারণ মানুষ ছিল,ওর মৃত্যু আমাদের বড় ক্ষতি, দেশের ক্ষতি’’ : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : উস্তাদ রশিদ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওস্তাদ রশিদ খানের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল পিয়ারলেসে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং আরেক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।

পিয়ারলেস হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন রশিদ নেই এটা ভাবতেই পারছি না ও আমাকে মা বলে ডাকতো।মমতার ভাষায়, ‘‘ভাবতেই পারছি না, রাশিদ আর নেই। ওঁর মিষ্টি গলাটা আর শুনতে পাব না। কথাটা বলতে গিয়ে এখনও আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।’’

Advertisement

মমতা আরও বলেন, ‘‘আমাকে কথাগুলো বলতে হচ্ছে বলতে হবে বলে। কিন্তু বলতে কষ্ট হচ্ছে। কী করব বলুন সবটাই সামলাতে হয়।’’ প্রশাসনিক দায়িত্ব কাঁধে থাকলে অনেক পরিস্থিতিতেই আবেগ প্রকাশ করা যায় না, সে কথাই বলতে চাইছিলেন মমতা। যদিও একটু পরেই তাঁকে আবেগপ্রবণ শোনায়। মমতা বলেন, ‘‘রাশিদ ছিল আমার ভাইয়ের মতো। খুব ভাল সম্পর্ক ছিল আমাদের। বাংলা উর্দু মিশিয়ে মিষ্টি করে কথা বলত। ও আমাকে বলত, ‘তুমি আমার মা আছো’।’’

বাংলার বহু সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাশিদ। বাংলার সরকার তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানও দিয়েছিল। মমতা নিজে গান শুনতে ভালবাসেন। বহু অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠ মহলে রাশিদের গানের প্রশংসাও করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। সেই রাশিদের মৃত্যু সংবাদ জানাতে এসে স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসে পুরনো কথা। মমতা বলেন, ‘‘ওঁকে উস্তাদ বলা হয়। রবীন্দ্র সঙ্গীতও দারুণ গাইত। সমস্ত ভাষায় দখল ছিল। সবার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল। মাত্র ৫৫ বছর বয়স। আমি মনে প্রাণে চেয়েছিলাম ও ফিরে আসুক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওঁকে ফেরাতে পারলাম না। রশিদের গান আর আমরা শুনতে পাব না। ভেবেই আমার দুঃখ লাগছে। একজন অসাধারণ মানুষ ছিল। ওর মৃত্যু আমাদের বড় ক্ষতি। দেশের ক্ষতি।’’


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ