কলকাতা 

”শহিদ কমরেডদের লাশ বয়েছি এই কাঁধে। এখনও তাকালে মইদুলকে দেখতে পাই, সালিম খানের আর্তনাদ কানে ভাসে” : মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : ৫০ দিন ধরে রাজ্যজুড়ে ইনসাফ যাত্রার পর আজ ৭ জানুয়ারি রবিবার ব্রিগেড গ্রাউন্ডে সমাবেশের আয়োজন করে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। এই সমাবেশ এই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাখা সংগঠনের দলনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সরাসরি বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি শুরুতেই বলেন,”ডানদিকের লোকজন বলছে, তাদের অসুবিধা হচ্ছে। আমি বলি, বামপন্থীরা যখন মাঠের দখল নেয়, ডানদিকের লোকজনের অসুবিধাই হয়।” বার বার তাঁর ভাষণে উঠে এল মাঠের লড়াইয়ের কথা। যে মাঠ থেকে রাজনীতিকে ‘খেলা হবে’ বলে ডাক দিয়েছিল, সেই মাঠের দখল আজ বামপন্থী ছাত্র-যুবরা নিয়েছে। স্পষ্ট করে বলেন যে মাঠে খেলা হবে বলেছিল সেই মাঠের তখন নিতে এসেছে বামপন্থীরা।

তিনি যেদিন বলেন কুকুর মোটা হলেই বাঘ হয় না।মিনাক্ষীর কথায়, ‘‘তা কুকুর মোটা হলে বাঘ হয় না। লড়াই আসলে নীতির। এ লড়াই শেষ নয়। লড়াই শুরু।’’ বিজেপিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মিনাক্ষী। নাম না করেই জানান, এরা রেল বিক্রি করছে, নদী-নালা বিক্রি করছে। এর পরেই তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের ঘরের টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট করার সাহস হত না। অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন, আকাশ থেকে নেমে কোনও ‘ফরিস্তা’ আমাদের ভাল করবে। কিন্তু বেঁচে থাকতে চাইলে আসুন লড়াইয়ে।’’

Advertisement

DYFI যুবনেত্রী ফিরে গেলেন ছোটবেলায়। বললেন, ”অনেক ছোট থেকে ব্রিগেডে আসছি বাবার হাত ধরে। মঞ্চ তখন ওদিকে হতো, ওই কোনায় গিয়ে বসতাম। শিখেছিলাম, রাজনীতি করতে হলে পাশের জনের হাত ধরে এগিয়ে যেতে হবে। এটা শিখিনি যে রাজনীতি করতে হলে চোরের ঘরে জন্ম নিতে হবে, চুরি করতে হবে।” বললেন, ”শহিদ কমরেডদের লাশ বয়েছি এই কাঁধে। এখনও তাকালে মইদুলকে দেখতে পাই, সালিম খানের আর্তনাদ কানে ভাসে। সুদীপ্ত-সইফুদ্দিনদের লাশ বয়েছি। সেই গন্ধ এখনও নাক থেকে যায়নি।”মিনাক্ষী এদিন বলেন, ‘‘কারা বলে বামপন্থীরা শূন্য। ওঁরা বামেদের ভয় পান। আমাদের রাগ নেই। ভয় নেই। কিন্তু আশঙ্কা রয়েছে, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ রুচিরুজির কথা বলছে কি না!’’

ইনসাফ যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানকে ঘিরে বামপন্থীদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু হবে কিনা তা এখন দেখার। এদিনের সমাবেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভিড় লক্ষণীয় ছিল একইভাবে সংখ্যালঘু সমাজের অংশীদারিত্ব এই সমাবেশকে ঘিরে লক্ষ্য করা গেছে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ