কলকাতা 

রাম মন্দির উদ্বোধনের নামে বিজেপি-র সাম্প্রদায়িক জিঘাংসার বিরুদ্ধে ২২-২৫ জানুয়ারি কলকাতায় মহামিছিল ও আলোচনাসভা

শেয়ার করুন

মোহাম্মদ সাদউদ্দিন, কলকাতা: আগামী বছর ২২ জানুয়ারি (২০২৪) রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিজেপি-আর এস এস ও কিছু কর্পোরেট লবি যেভাবে ভারত ব্যাপী সাম্প্রদায়িক জিঘাংসা, উত্তেজনা ও উন্মাদনা তৈরি করছে তার বিরুদ্ধে ফ্যাসীবাদ বিরোধী মঞ্চ ও ২০০ সংগঠন কলকাতায় ২২-২৫ জানুয়ারি মহামিছিল , কনভেনশন , সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশ থেকে তারা বিজেপিকে উৎখাত করার আহ্বান জানাবে।

মঙ্গলবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানানো হয় আয়োজক সংগঠন ফ্যাসীবাদ বিরোধী সম্মেলনের পক্ষ থেকে। সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, ২২ জানুয়ারি কলকাতার রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম পর্যন্ত মহামিছিল হবে। তারপর নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সম্মেলন হবে। তিনদিনের এই কর্মসূচিতে থাকবেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন, নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটেকর, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শীতলবাদ, সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বহিস্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র , অনুরাধা ভাসান, হর্ষ মান্দার,আদিত্য নিগম,রাকেশ টিকায়েত প্রমুখ।

Advertisement

এদিন আয়োজক সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য বলেন শক্তিমান ঘোষ, নৌসিন বাবা খান, বাসুদেব বসু, ছোটন দাস, সিদ্ধব্রত দাস, সুবলচন্দ্র সর্দার,বিপ্লব ভট্টাচার্য, মুরাদ হোসেন,অধ্যাপক দীপঙ্কর দে,কবি প্রসুন ভৌমিক,অধ্যাপক সুমন বন্দোপাধ্যায়, কবি প্রসুন ভৌমিক,অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল, অরুপশঙ্কর মৈত্র, বিশিষ্ট লেখক বিশ্বেন্দু নন্দ। এদিন বক্তারা বলেন , তিনদিনের কর্মসূচির শেষের দুদিনের কর্মসূচি হবে কলকাতার কলেজস্ট্রিট ও কলেজস্কোয়ার এলাকার বিভিন্ন হল ঘরে। গান-কবিতা-আলোচনা ও সমাবেশে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দেওয়া হবে। তিনদিনের কর্মসূচিকে সফল করতে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতা সহ রাজ্যে ২১টি সমাবেশ হবে। বিজেপি সরকারের কাছে হিন্দুত্ববাদ ছাড়া তাদের কাছে কোনো কর্মসূচি নেই।

বিজেপি সরকার দেশের সংবিধানের ধার ধারে না। গণতন্ত্র ও সংসদীয় ব্যবস্হাকে তারা ধ্বংস করছে। বিচারবিভাগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাকে খর্ব করছে। সংসদে বিরোধীদের কন্ঠকে রুদ্ধ করে দিচ্ছে। তাই বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী সহ ১৪১ জন সাংসদকে সাসপেণ্ড করলো এই সরকার। এই সরকার সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্হাগুলোকে আদানি-আম্বানিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম। জ্বালানির দাম ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। জিডিপি দিন দিন কমে যাচ্ছে। বেকারিত্ব হু হু করে বাড়ছে। দেশের বহুত্ববাদী সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে। তাই এই সরকারকে উৎখাত করতেই হবে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ