সংসদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ২ যুবক বিজেপি সাংসদের অনুমতি পত্র নিয়ে লোকসভায় ঢুকেছিলেন!
বাংলার জনরব ডেস্ক : লোকসভায় ঢুকে পড়ে আচমকা রং বোমা ছোড়ে এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন যে যেই দুই যুবক তারা বিজেপির সাংসদের অনুমতি পত্র নিয়ে লোকসভাতে প্রবেশ করেছিল বলে জানা গেছে। জানা যাচ্ছে, দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অতিথি। তাঁদের মুখে ছিল, ‘জয় ভীম’ স্লোগান। এদিকে, এই ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কীভাবে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার পাস হাতে পায় হামলাকারীরা? কড়া নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে কীভাবে গ্যাস বম্ব নিয়ে ভেতরে পৌঁছয় অভিযুক্তরা? এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তিনি বলেন, “দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে আমদের চিন্তা ছিল ওই ধোঁয়া নিয়ে। তা কী ছিল বা কেমন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই ধোঁয়ায় বিশেষ কোনও কিছু ছিল না। তা প্রতিবাদ করার জন্যই ব্যবহার হয়েছিল। ফলে আতঙ্কের কারণ নেই।”
এই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আচমকাই এমন হামলায় তাঁরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। এমনকী, অজ্ঞাতপরিচয়রা গুলি চালাতে পারে বা বোমা ছুড়তে পারে প্রাথমিক ভাবে এমনও আতঙ্ক তৈরি হয় তাঁর মনে। যদিও দুজনকে আটক করা গিয়েছে বলেও জানান তিনি। কী করে লোকসভায় এমন ঘটতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনি।
বুধবার দুপুরে একটা নাগাদ লোকসভার ভেতরে ঢুকে অতিথি গ্যালারি থেকে তারা ঝাপিয়ে পড়ে সংসদ ভবনে অধিবেশন কক্ষে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হলুদ রঙের গ্যাস ছুড়তে থাকেন। এই ঘটনার পর সাংসদদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দেয়। কিছু ক্ষণের মধ্যে হামলাকারীদের ধরে ফেলা হয়। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা নন, হামলাকারীদের ধরেছেন লোকসভারই দুই সাংসদ।
বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সাংসদ মালুক নাগর এবং রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির (আরএলপি) সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল। দিনের শেষে লোকসভায় ‘নায়ক’ তাঁরাই। এই দুই সাংসদই হামলাকারী যুবকদের ধরেছেন। তার পর তাঁদের তুলে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। মালুক উত্তরপ্রদেশের বিজনোর কেন্দ্রের সাংসদ। হনুমান রাজস্থানের নাগৌর কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি আরএলপি দলের প্রেসিডেন্ট।
নিরাপত্তারক্ষীরা যখন দুই যুবককে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘দু’জন গ্যালারি থেকে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের হাতে কিছু ছিল। হলুদ রঙের গ্যাস বেরোচ্ছিল তা থেকে। আমাদের সাংসদেরাই তাঁদের ধরে ফেলেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা হানাদারদের ধরে বার করে আনেন।’’