কলকাতা 

মা ও শিশুর স্বাস্থ্য কিশোর কিশোরীদের বয়সন্ধিকালীন সমস্যা নিয়ে আমানত ও ইউনিসেফের রাজ্যস্তরের ধর্মীয় গুরুদের নিয়ে সভা

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : রাজ্যের মা ও শিশু স্বাস্থ্যসহ কিশোর কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা সমাধানে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসার বার্তা দেওয়া হল ইউনিসেফের অনুষ্ঠানে। গত ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ কলকাতার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে কোলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পুরুলিয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, ও দক্ষিণ দিনাজপুর হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে ইউনিসেফের সহযোগিতায় আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট।

আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি জালালউদ্দিন আহমেদ কোলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পুরুলিয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যারা বিগত ৩ বছর কাজ করে আসছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন । আগামীদিনে আরও বেশি বেশি মানুষের সাথে সংযোগের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের আশা ব্যাক্ত করেন। এছাড়া তিনি ইন্টার ফেইথ অ্যালায়েন্স আয়োজনের উদ্দেশ্য এবং ইন্টার ফেইথ অ্যালায়েন্স উদ্যোগের কারণ ব্যাখ্যা করেন ।

Advertisement

ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গের প্রধান অমিতর মেহরোত্রা সব ধর্ম মিলনের কথা বলেন । মাদ্রাসা শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন । তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের কথা বলেন।তিনি আরো বলেন ১৮ বছরের আগে কেউ যেন কোন মেয়ের বিয়ে না দেয়।

ইউনিসেফের এসবিসিসি স্পেশালিস্ট সোনিয়া মেনন ছেলে-মেয়েদের সমান অধিকারের কথা বলেন । মেয়েরাও পরিবারকে আগে নিয়ে যেতে পারে এছাড়া শিশু সুরক্ষা ও মহিলা স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন। এই ব্যাপারে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

আমানত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহ আলম ইন্টার ফেইথ অ্যালায়েন্স আনুষ্ঠানিকীকরণ ও গঠন নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তাঁর মতে, শিশুর জন্মের পর মায়ের দুধ শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এই বিষয়গুলি নিয়ে যদি জুম্মার নামাযের খুতবার পর, রবিবার গুরুদোয়ারা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচনা শুরু করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের থেকে ভুল ধারণা দূর করা এবং সমাজের উন্নয়ন সম্ভব।

ইউনিসেফের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট সুচরিতা বর্ধন ইন্টার ফেইথ অ্যালায়েন্স-এর কার্যকলাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার কথা উল্লেখ করেন। ৬ টি ধর্মের ধর্মগুরুরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি,শিশু সুরক্ষা, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।মুহাম্মদ শাহ আলম সাহেবের বিদায় ভাষণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ