তিন রাজ্যে পরাজয়ের জের কংগ্রেসের ডাকা ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সশরীরে যোগ দিচ্ছেন না মমতা- নীতিশ – অখিলেশ!
বাংলার জনরব ডেস্ক : পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত এবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানা গেছে।তবে নীতীশ ব্যক্তিগত ভাবে খড়্গের বাসভবনে হাজির না থাকলেও প্রতিনিধি পাঠাবে জেডিইউ। অখিলেশের ক্ষেত্রেও প্রতিনিধি পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা এবং ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা ভোটের ফল বেরিয়েছে গত রবিবার। ফল বলছে, উত্তর ভারতের হিন্দি বলয় থেকে কার্যত মুছে গিয়েছে কংগ্রেস। ‘হাত’ছাড়া হয়েছে রাজস্থান, ছত্তীসগড়। মধ্যপ্রদেশেও হেলায় জয় পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের মুখ রেখেছে কেবল তেলঙ্গানা। এই চার রাজ্যের ফলাফল যখন প্রায় স্পষ্ট তেমন আবহেই জানা যায়, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বিরোধী নেতৃত্বকে ফোন করে ৬ ডিসেম্বর ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাতে শুরু করেছেন। দিল্লিতে খড়্গের বাসভবনেই এই বৈঠক হওয়ার কথা। সাম্প্রতিক একাধিক রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলের আবহে আগামী লোকসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা বুধবারের বৈঠকের অন্যতম আলোচ্যসূচিতে থাকার কথা। কিন্তু শুরু থেকেই সমন্বয়ের অভাব স্পষ্ট। এ ভাবে ভোটে ধাক্কা খাওয়া কংগ্রেসের উপর শরিকরা চাপ বৃদ্ধির রাস্তায় হাঁটছেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা যেমন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গে। তেমনই জানা যাচ্ছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ এবং উত্তরপ্রদেশের নেতা এসপি প্রধান অখিলেশও সম্ভবত বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না। সূত্রের খবর, আসন রফা নিয়ে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে ‘তিক্ত’ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এসপির। সেই প্রেক্ষিতে অখিলেশ বৈঠকে গরহাজির থাকতে চলেছেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও বারাণসীতে সেই উত্তাপ কমানোর চেষ্টাই করতে দেখা গিয়েছে অখিলেশকে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভোট শেষ হতেই এ বার অহঙ্কারও শেষ হচ্ছে। তাপমাত্রা নীচে নেমে আসছে।’’ অখিলেশ না গেলেও সম্ভবত ইন্ডিয়ার বৈঠকে অখিলেশের দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন রামগোপাল যাদব। উত্তরপ্রদেশে এসপির অন্যতম সহযোগী দল আপনা দল (কমেরাবাদী)ও কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে হাজির থাকছে না।
এ থেকে স্পষ্ট যা আঞ্চলিক দলগুলো মূলত কংগ্রেসের সাফল্যের উপর নির্ভর করে জোট করতে চেয়েছিল। এই সকল জটিল নেতারা ভেবেছিলেন যে কংগ্রেস অন্তত চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে। তা না হওয়ার ফলে এ সকল জোটের নেতারা ধরে নিয়েছেন আগামী দিনে ফির দিল্লিতে ক্ষমতায় আসছেন মোদি সুতরাং বিজেপির সঙ্গে দ্বন্দ্বে যেতে চাইছে না, আঞ্চলিক দল। এখন দেখার বিষয় কংগ্রেস এই সংকট কাটিয়ে কিভাবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে নিজেদেরকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারে।