মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অভিনব পন্থা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
বাংলার জনরব ডেস্ক : মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অভিনব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামী ২ রা ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে চলবে ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রায়ই শোনা যায়, প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরেই মোবাইলের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করে দিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করার চেষ্টা চলে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের। এবার সেই প্রশ্নপত্র ফাঁস রাখার জন্য বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Exam) এভাবে ‘প্রশ্ন ফাঁস’ তথা পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে আসা রুখতে নিয়েছে প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা রক্ষায় একেবারে নতুন একটি ব্যবস্থা। যে ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্রের ছবি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বেরোলেই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্রটি কোন পরীক্ষার্থীর তা জানা যাবে। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রশ্নপত্রে একটি করে ‘স্বতন্ত্র কোড’ থাকবে। গোটা ব্যবস্থাটি সেই কোডের উপরেই নির্ভরশীল।
রামানুজবাবু বলেন, “অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ পরীক্ষা শুরুর হওয়ার পর যাতে ছবি তুলে প্রশ্ন না বের করতে পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নপত্রের একটি করে ইউনিক সিরিয়াল নম্বর করে দিয়েছি। পরীক্ষার সময় একজন পরীক্ষার্থী যে প্রশ্নপত্র পাবে, সেই প্রশ্নপত্রের ইউনিক কোডটি তার উত্তরপত্রে ও অ্যাটেন্ডেন্স শিটে লিখে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনও প্রশ্নপত্র বেরিয়ে এলে কোডটি দেখলেই বোঝা যাবে কোন জায়গা থেকে প্রশ্নের ছবি বেরিয়েছে এবং প্রশ্নপত্রটি কার।”
শুধু প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতা নয়। প্রশ্নপত্রের যে কোনও পৃষ্ঠার ছবি তুললেই এই কোডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। তাঁর কথায়, “যে কোনও পাতার ছবি তুললেই সিরিয়াল নম্বরের মাধ্যমে ধরা পড়বে। কোডটা প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতার উপরে থাকার পাশাপাশি প্রতিটি পাতায় এমবেডেড থাকবে। সেক্ষেত্রে যে কোনও পাতার ছবি তুলুক বা যে অ্যাঙ্গেলেই তুলুক, আমরা ঠিক বের করে নেব প্রশ্নপত্রটি কার।”
ইতিমধ্যেই জেলাগুলি পরিদর্শন শুরু করেছেন পর্ষদ সভাপতি। জেলা বৈঠকেও গোটা ব্যবস্থাটি সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের। কারণ, পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির তালিকাতে প্রশ্নপত্রের কোড লিখিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে পরীক্ষার হলে থাকা ইনভিজিলেটরের উপরেই।