দেশ 

শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা কোনও ব্যক্তির গ্রেফতারির কারণ হতে পারে না সাংবাদিক সাজাদ আহমেদ গুলের গ্রেফতারি খারিজ করে বলল জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : একজন সাংবাদিক শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করার জন্য গ্রেফতার হবেন এটা গণতান্ত্রিক দেশে আশা করা যায় না। এই ধরনের যে কাজ প্রশাসন ও পুলিশ করেছে তা এক কথায় গণতন্ত্রের বিরোধী অবশ্যই নিন্দা জনক। এই ভাষাতেই জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট সাজাদ আহমেদ গুলের আটকের তীব্র সমালোচনা করেছি এবং অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া নির্দেশ দিয়েছে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা কোনও ব্যক্তির গ্রেফতারির কারণ হতে পারে না। সাজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও গুরুত্ব নেই বলেও উচ্চ আদালত জানিয়েছে। উল্টে ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেছে আদালত।

Advertisement

গত বছর ২২ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীর জননিরাপত্তা আইনে সাজাদকে আটক করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে শত্রুতা বৃদ্ধি পাবে এমন প্রচার করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলাতেই প্রধান বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংহ এবং এমএ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত বা কাজ নিয়ে সমালোচনা করলে গ্রেফতার করা হবে— প্রশাসনের এমন মানসিকতা হওয়া উচিত নয়। এই ধরনের গ্রেফতার, আইনের অপব্যবহার ছাড়া অন্য কিছু না। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, সাজাদের খবরের সত্যতা নেই এবং ভুয়ো এমন যুক্তি কোথাও তুলে ধরা হয়নি। এমনকি তাঁর খবরের ফলে রাজ্যের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ নেই।

এর আগে ওই হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সাজাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। তাঁকে আটকে রাখার ঘটনায় আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবাদন করেন জম্মু ও কাশ্মীরের ওই সাংবাদিক। দুই বিচারপতির বেঞ্চ তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়। খারিজ করে দেওয়া হয় ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের গ্রেফতার করার নির্দেশকে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করার জন্য সাংবাদিকদের আটক করার ঘটনা একমাত্র জম্মু-কাশ্মীরে ঘটছে এটা তো নয় বরং সমগ্র দেশ জুড়ে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি গণতন্ত্রের অন্যতম রক্ষক বলে নিজেকে দাবি করা নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে বিরোধী সাংবাদিকদের আটক করা হচ্ছে এবং তাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এই ধরনের ঘটনা বিষয় সুপ্রিমকোর্ট বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। কারণ এই ধরনের ঘটনা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ খুবই জরুরী।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ