খেলা 

২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপক মহম্মদ শামিকে প্রথম একাদশে সুযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল! চমকে উঠছেন! নেপথ্যের রহস্য জানতে হলে পড়ুন

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : মহম্মদ শামিকে ছাড়াই এবারের বিশ্বকাপ খেলতে চেয়েছিল ভারত। এ বিষয়ে নাকি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল এরকম একটি তথ্য বেরিয়ে এলো সেমিফাইনালের পরে। এই বিশ্বকাপে যদি হার্দিক পাণ্ড্য চোট না পেয়ে বসে যেত বসে না যেত তাহলে হয়তো মহম্মদ শামিকে আর ২০২৩ এর বিশ্বকাপে দেখা যেত না।

সৌভাগ্য বলুক আর দুর্ভাগ্য বলুক না কেন হার্দিক পাণ্ড্য পড়ে গিয়ে চোট পাওয়ার পর ক্রিকেট ম্যানেজমেন্টের হঠাৎ নজর পড়ে মহম্মদ শামির দিকে । মহম্মদ শামি মাত্র ছটি ম্যাচ খেলে ২৩ টি উইকেট পেয়েছে এবং এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট দাতা তিনি। একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই মহম্মদ শামি যদি না থাকতো তাহলে ভারত কয়েকটি ম্যাচে হেরে যেত। মহম্মদ শামির অনবদ্য বোলিং ভারতকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আগামী রবিবার ১৯ শে নভেম্বর বিশ্ব কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় মহম্মদ শামির অনবদ্য বোলিং হয়তো ভারতকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে।

Advertisement

কিন্তু ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর জানিয়েছেন যদি হার্দিক পান্ডা চোট না পেত তাহলে হয়তো মহম্মদ শামিকে এই বিশ্বকাপে দেখা যেত না।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার্দিক নিজের ওভারেই বল আটকাতে গিয়ে পড়ে যান। তাঁর শরীরের পুরো ওজন গিয়ে পড়ে পায়ের উপর। সেই ম্যাচে আর বল করতে পারেননি হার্দিক। পরে পুরো বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যান। প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন শামি। প্রথম ম্যাচেই নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেন বাংলার পেসার। এর পর যত ম্যাচ গিয়েছে, তত জায়গা পাকা হয়েছে শামির। কিন্তু রাঠৌর বলেন, “আমরা যে পরিকল্পনা নিয়ে দল সাজাচ্ছিলাম তাতে শামির জায়গা হচ্ছিল না। খুব কঠিন ছিল ওকে দলে নেওয়া। হার্দিক চোট পাওয়াতে সেই সুযোগ আসে।”

শামি এ বারের বিশ্বকাপে শুধু নেদারল্যান্ডস ম্যাচে উইকেট পাননি। তার আগে চারটি ম্যাচে খেলেননি। এমন অবস্থাতেও সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকায় শীর্ষে তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ১০টি ম্যাচ খেলে ২২ উইকেট নিয়েছেন। শামি সেখানে খেলেছেন ছ’টি ম্যাচ। রাঠৌর বলেন, “শামি খুবই স্পেশ্যাল বোলার। খুব ভাল বল করছে ও। দলের ম্যানেজমেন্টকেও কৃতিত্ব দিতে হবে এর জন্য। নিয়মিত না খেললেও শামিকে তৈরি রেখেছিল তারা। মানসিক ভাবে শামিকে প্রস্তুত রেখেছিল তারা। এখনও আমাদের দলের সেরা স্পিনার (রবিচন্দ্রন অশ্বিন) প্রথম একাদশের বাইরে রয়েছে।”

ভারতীয় ক্রিকেট ম্যানেজমেন্টের এই ধরনের সিদ্ধান্ত দেখে অলক্ষে হয়তো স্রষ্টা হাসছিলেন। তিনি হয়তো মনে মনে বলেছিলেন যে যতই ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিক না কেন ২০২৩ এর বিশ্বকাপে মহম্মদ শামি যে রেকর্ড করবে । রাখে হরি তো মারে কে? অর্থাৎ মহম্মদ শামিকে দিয়েই এবারের বিশ্বকাপ যে ভারতের হাতে উঠবে সেই সিদ্ধান্তটা স্বয়ং স্রষ্টা নিয়েছেন। তাচ্ছিল্য অবহেলা করে এদেশের একটি সম্প্রদায়কে বঞ্চনা করা যায় সত্যি কিন্তু বাস্তব বলছে মেধা এবং নিজের কৃতিত্বের জোরেই এই সম্প্রদায় সামনের সারিতে উঠে আসবে!

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ