নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : নওশাদ সিদ্দিকী
বিশেষ প্রতিনিধি: তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্বে নন্দীগ্রামের উন্নয়ন থমকে আছে। অথচ নন্দীগ্রাম গণহত্যাকে অন্যতম ইস্যু করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই গণহত্যা কারা চালিয়েছিল ও সেই হত্যাকারীদের শাস্তি আজও কেন হল না তার জবাবদিহি তৃণমূল সুপ্রিমোকে দিতে হবে। আজ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ডে এক জনসভায় একথা বলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বিজেপি’রও তুমুল সমালোচনা করে বলেন, তারাও রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য নন্দীগ্রামকে ব্যবহার করেছে। তিনি এখানকার নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন, স্থানীয় সাংসদের দিকে প্রশ্নের আঙুল তুলে বলেন নন্দীগ্রামকে এখনও কেন ভারতীয় রেল মানচিত্রে যুক্ত করা হলোনা সেজন্য এলাকার সাংসদ লোকসভায় কতবার দাবী তুলেছেন?
এছাড়াও তিনি বলেন রাজ্য সরকারও এবিষয়ে উদাসীন, তারা কেন্দ্রকে লিখিতভাবে দাবী জানাক। তিনি বলেন, শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কেউই এখানকার উন্নয়নের দিকে নজর দিচ্ছে না। নন্দীগ্রামের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ দর্জি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। এখানকার রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ, ফেরিঘাট নির্মাণ এখনও হয়নি। স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাও ভালো নেই। নামেই মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল আছে। কিন্তু নীল-সাদা রং লাগিয়ে যে উন্নয়ন হয়না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এরই সাথে তৃণমূল কংগ্রেস-বিজেপি’র বাইনারি রাজনীতির কড়া সমালোচনা করে বলেন, সিএএ-এনআরসি’র ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় ভোট আদায় করছেন, অথচ তিনিই সংসদে দাঁড়িয়ে এর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এই দ্বিচারিতা নিন্দনীয়। পাশাপাশি তিনি আইএসএফ কর্মীদের গণতান্ত্রিক ভাবে, সৌজন্যের সাথে রাজনীতির কথা বলেন।
সভায় আইএসএফের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি মূখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করে বলেন নন্দীগ্রামে এখনও পর্যন্ত আইটিআই কলেজ স্থাপন করা হলোনা? তিনি অবিলম্বে নন্দীগ্রামে আইটিআই কলেজ স্থাপনের দাবি জানান। সভায় আইএসএফের জেলা নেতৃত্ব এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য বিক্রম চ্যাটার্জি, হেমাবতি মান্ডি, রেহান শাহ,আব্দুল বসির,সিরাজুল ইসলাম সহ স্থানীয় ব্লক নেতৃত্ব শবে মিরাজ খান, কালু খান উপস্থিত ছিলেন।