জয়নগরের তৃণমূল নেতার খুনে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ! অভিযুক্তরা সকলেই সিপিএম কর্মী !
বাংলার জনরব ডেক্স : জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা সকলেই সিপিএমের সমর্থক বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত আনিসুর লস্করকে নদীয়ার হরিণঘাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি চারজনের নাম প্রকাশ করেনি এখনো পুলিশ পরে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আনিসুরই ‘মাস্টারমাইন্ড’। তিনি দলুয়াখাকির বাসিন্দা। নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, সেখানেও নাম রয়েছে আনিসুরের। পুলিশ সূত্রে খবর, জয়নগরকাণ্ডে ধৃত শাহরুল শেখ যে ‘বড়ভাই’-এর কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তাঁর নাম আলাউদ্দিন সাঁপুই। তিনি মন্দিরবাজার থানা এলাকার টেকপাঁজা গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় আলাউদ্দিন সিপিএম নেতা হিসাবে পরিচিত।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যাঁর বাড়িতে থেকে ধৃত শাহরুল তৃণমূল নেতার গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন, তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা। নাম মোতালেফ। তিনিও এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত। খুনের সময় যে বাইক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা মসিবুর রহমান লস্করের নামে। তাঁর পরিবারও সিপিএমের সমর্থক। এঁরা প্রত্যেকেই ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া। প্রত্যেকের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
সইফুদ্দিন খুনের পিছনে যে ভাড়াটে খুনি রয়েছে, তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন তদন্তকারীদের একাংশ। পুলিশ মনে করছে, খুনের আগে রীতিমতো পুরো এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়। সবটাই পরিকল্পনামাফিক। সূত্রের খবর, এর আগে তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছিলেন জয়নগরকাণ্ডের ‘পাকা মাথা’ আদতে নাসির হালদার নামে টেকপাঁজা গ্রামের এক বাসিন্দা। ধৃত শাহরুলের বয়ানে উঠে এসেছিল নাসিরের নাম। শাহরুলের দাবি, সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন এই নাসিরই। গুলি চালিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা খুনের পর সাহাবুদ্দিনকে পিটিয়ে মারা হয়।
মঙ্গলবার পর্যন্ত নাসিরের সম্পর্কে বিশেষ তথ্য ছিল না পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশের সূত্রে বুধবার জানা গিয়েছিল, শাহরুল জেরায় জানিয়েছেন, কলকাতায় পুরনো জিনিসপত্র কেনা-বেচার কাজ করতেন এই নাসির। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে নাসিরের পরিবার। তাঁর পরিবারের দাবি, নাসিরকে ইচ্ছা করে ফাঁসানোর জন্যই তাঁর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সইফুদ্দিন খুনের পর থেকে নাসিরেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার মধ্যেই আটক আনিসুর-সহ পাঁচ জন।
পুলিশের দাবি তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে খুব দ্রুতই এই খুনের কিনারা হয়ে যাবে। এখন দেখার বিষয় সাইফুদ্দিন লস্করের মতো জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা কে খুন করার নেপথ্যে কোন কারণ লুকিয়ে রয়েছে।