১৬ বছর পর গাজা হামাস মুক্ত দাবি ইসরাইলের, পাল্টা হামাস কী বললো?
বাংলার জনরব ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ক্ষমতা হারিয়েছে হামাস, পুরো গাজা এখন ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে তবে একজন বন্দীকে মুক্ত করতে পারেনি ইসরাইলি সেনারা , বন্দী মুক্তিই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য বলে সোমবার দাবি করলেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, গাজার বেসামরিক লোকেরা হামাসের ঘাঁটি লুট করছে।সোমবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসন শুরুর প৩৭ দিনের মাথায় এই দাবি করলেন গ্যালান্ট। খবর আল আরাবিয়ার।
সোমবার ইসরাইলের প্রধান টিভি স্টেশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে গ্যালান্ট বলেন, ‘হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সন্ত্রাসীরা দক্ষিণ দিকে পালাচ্ছে। বেসামরিক লোকেরা হামাসের ঘাঁটি লুট করছে। তাদের আর সরকারের প্রতি আস্থা নেই।’ তবে নিজের এসব দাবির সপক্ষে কোনো ভিডিও প্রমাণ পেশ করেননি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ভ গ্যালান্ট বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর গাজায় শাসন চালিয়েছে হামাস। কিন্তু লাগাতর প্রত্যাঘাতে হামাসের জঙ্গিরা প্রাণভয়ে পালাচ্ছে।প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
হামাসের এই হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ১৪০০ ইসরাইলি। নিহতদের মধ্যে তিন শতাধিক সেনাসদস্য রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরও সাড়ে ৪ হাজার ইসরাইলি। এছাড়া সেনা কর্মকর্তা ও সেনাসহ কমপক্ষে আরও ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ভ গ্যালান্টের বক্তব্য শুনে হামাসের দাবি, ইসরাইল সেই মধ্যস্থতাকারীর বার্তায় মন দিক। হামাসের তরফে মুখপাত্র আবু ওবেদিয়া বলেছেন, ‘‘আমরা মধ্যস্থতাকারীকে জানিয়েছি যে, পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি পেলে আমরা কিছু পণবন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি। ওই পাঁচ দিনে আমরা আহতদের চিকিৎসা করব এবং ত্রাণ বিতরণ করব। কিন্তু শত্রুপক্ষ গড়িমসি করছে।’’
পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে ৭০ জন পণবন্দিকে ছাড়তে রাজি হয়েছে হামাস। তবে দর কষাকষি চলছে। ইসরাইল ১০০ জনের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে হামাসের তরফে আবার জানানো হয়েছে, ১০০ জনকে মুক্তি দিলে ইসরাইলের জেলে বন্দি ২০০ ফিলিস্তিনি শিশু এবং ৭৫ মহিলাকে মুক্তি দিতে হবে।