বড় সায়েন্টিস্ট হতে হবে, উত্তরে জানালো ‘আমরাও প্রস্তুত’ : আল মোস্তফা মিশন-এর ছাত্রীরা
নাফিসা ইসমাতের প্রতিবেদন: স্বপ্ন দেখলে বড় স্বপ্ন দেখো। কেন হতে পারবেনা, তোমাদের মধ্যে কেউ সায়েন্টিস্ট বা বড় প্রশাসক! যেমনটি বলতেন বিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালাম, ‘ওই স্বপ্ন নয়, যা তুমি ঘুমিয়ে দেখো, বরং সেই স্বপ্ন দেখো, যা তোমাকে ঘুমোতে দেয় না।’ সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মালতীপুরে আল মোস্তফা মিশনের ছাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে তাদেরকে উজ্জিবিত করে সামনে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক প্রস্তুতির কথা বলছিলেন গণিতের বিশিষ্ট শিক্ষক নায়ীমুল হক। ছাত্রীরাও সমস্বরে শিক্ষকের সঙ্গে প্রত্যয়ের সঙ্গে জবাব দিল, ‘আমরাও প্রস্তুত’।
বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পুজোর ছুটি চলছে। খোলা আছে বিভিন্ন মিশন। বিদ্যালয়ের পুজোর ছুটির দিনগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেরিয়ে পড়ছেন এই সমস্ত মিশন বিদ্যালয়গুলির ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে। উদ্দেশ্য একটাই, সামনে তাদের বোর্ড পরীক্ষা, মনোবল ঠিক রেখে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে তাদের সাহায্য করা। এছাড়াও প্রশ্ন বাছতে শেখা, কত নম্বরের জন্য ঠিক কতটুকু লিখতে হয় তা শেখা, টাইম ম্যানেজমেন্ট একটা বড় বিষয়, সে সম্পর্কে সজাগ হওয়া, এ সমস্ত বিষয়ে যাতে মিশন বিদ্যালয়গুলির ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সম্যক ধারণা গড়ে ওঠে, তার জন্যই পূজোর ছুটিতে বসে না থেকে, যেখান থেকে আমন্ত্রণ আসছে সামর্থ্য অনুযায়ী সেখানে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রবীণ প্রাজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকারা, সঙ্গে আছেন নবীনরাও, এমনকি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।
এদিন আল মোস্তফা মিশনে টেস্ট পরীক্ষার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ইংরেজি ক্লাস করলেন স্বনামধন্য শিক্ষক মোস্তফা হাবিব, পদার্থবিদ্যার ক্লাস নিলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক পলাশ ঘোষ এবং গণিতের ক্লাস নিলেন ঐতিহ্যশালী হরিনাভি স্কুলের শিক্ষক নায়ীমুল হক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সেখ আহাসান আলী এবং সিকান্দার মন্ডল। তাঁরাও কথা বললেন বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রী এবং শিক্ষক ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। ছাত্রীরা জানালো খুব খুশি হয়েছে তারা সমস্ত ক্লাস পেয়ে। তাদের বক্তব্য, ‘এ ধরনের ক্লাসের আয়োজন মাঝে মধ্যে হলে আমরা উপকৃত হব এবং অনুপ্রাণিতও হবো। আসন্ন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় একেবারে পাখির চোখের মতো আমাদের লক্ষ্য থাকবে সর্বোচ্চ নম্বর তুলে আনা, যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ সুদৃঢ় হয় এবং মিশনের নাম উজ্জ্বলতর হয়।’
বোর্ড পরীক্ষার আগে প্রতিটি বিষয়ের মক টেস্ট, মাঝে-মধ্যে মোটিভেশনাল ক্লাস-এর আয়োজন করার আরো পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী এবং গণিত এবং পদার্থবিদ্যার শিক্ষকেরা। তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছেন সম্পাদক ও বিশিষ্ট প্রধান শিক্ষক আর্শাদুর রহমান। দৃশ্যত খুবই সন্তুষ্ট সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী। তিনি জানালেন, বিভিন্ন পরিবার থেকে উঠে আসা এই সমস্ত ছাত্রীর ভবিষ্যৎ গঠনের সঙ্গে সঙ্গে সুদৃশ্য একটি ক্যাম্পাস তৈরির পরিকল্পনার কথাও।কাজ চলছে প্রতিটি অঙ্গনে, সকলের আশা অচিরেই ফল মিলবে।