ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় গুলি করে মারা হল তৃণমূল নেতাকে!
বাংলার জনরব ডেস্ক : সোমবার কাকভোরে গুলিবিদ্ধ জয়নগরের তৃণমুল নেতা । তিনি ফজরের নাম পড়ার জন্য বাড়ি থেকে মসজিদ যাচ্ছিলেন ভোর ৫ টা নাগাদ । সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয় । গুলির আওয়াজ পেয়ে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন । এরপর গুলিবিদ্ধ তৃণমুল নেতাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন ।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার বামনগাছি গ্রামের। ওই গ্রামেরই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন সইফুদ্দিন লস্কর (৪৩)। তিনি এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বও সামলাতেন। সইফুদ্দিনর স্ত্রী বামগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
সইফুদ্দিনের মৃত্যুতে বামগাছি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন বলে দাবি তৃণমূল সূত্রে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। তিনি এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করেছেন। বিভাস বলেন, ‘‘নমাজ পড়তে গিয়ে যে সইফুদ্দিন এ ভাবে খুন হবে, আমরা ভাবিনি। ও এলাকায় জনপ্রিয় ছিল। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করত। গরিব মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছে। ওর কোনও শত্রু আছে বলে আমার জানা নেই। কারা কেন এই কাজ করল, জানি না। যারা করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’’
বিধায়ক আরও বলেন, ‘‘রাজনীতিতে যারা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, তারাই এখন তৃণমূল নেতাদের ‘টার্গেট’ করেছে। এর প্রতিকার হওয়া দরকার। এই ঘটনায় অবশ্যই রাজনীতির যোগ আছে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। বিরোধীদের ওই এলাকায় কোনও অস্তিত্ব নেই। তারা ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে।’’
মৃতের বাবা ইলিয়াস লস্কর সিপিএমের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। কারও কোনও ক্ষতি করেনি। অঞ্চল দখল করার জন্য। বিরোধীরা চক্রান্ত করে এটা করল। সিপিএম এর সঙ্গে জড়িত আছে।’’
বারুইপুর এলাকার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনা ঘটাল, আর কারা এর সঙ্গে জড়িত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।