গাজায় যুদ্ধ বিরতিতে ইসরাইল নয় বাধা দিচ্ছে অন্য কেউ ! কে সে ? এ বিষয়ে কী বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট!
বাংলার জনরব ডেস্ক : গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলার নেপথ্যে ইসরাইল নয়, রয়েছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় এই হামলা হচ্ছে । কারণ আমেরিকার অবৈধ সন্তান হলো ইসরাইল । এই ভাষাতেই আমেরিকাকে নিশানা করলের ইসলামিক প্রজাতান্ত্রিক ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি । তিনি গতকাল শনিবার সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওআইসির সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলি বলেন । ওআইসির বৈঠক ডাকা হয়েছিল মূলত গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে । একই সঙ্গে রাইসি এদিন আমেরিকা ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাকও দেন ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাইসি বলেন, ‘‘এই যুদ্ধের মূল অপরাধী আমেরিকার সরকার। ইসরায়েল তাদের অবৈধ সন্তান। হাজার হাজার বঞ্চিত প্যালেস্টিনীয় শিশুর জীবনের বিনিময়ে ইসরায়েলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। তারাই গাজ়ার নিরুপায় মানুষগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার নামে ইহুদি আগ্রাসনকে উস্কানি দিয়েছে।’’ ইরানি প্রেসিডেন্টের আরও অভিযোগ, ‘‘যুদ্ধের আসল যন্ত্র আমেরিকার হাতেই আছে। তারাই গাজ়ায় যুদ্ধবিরতিতে বাধা দিচ্ছে। আমেরিকার এই আসল রূপ সারা বিশ্বকে চিনে নিতে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘গাজ়া শহরে যা ঘটছে, তা শুভ এবং অশুভের সংঘাত। কে কোন পক্ষ নেবে, তা তাদেরই নির্বাচন করতে হবে।’’ ইসরায়েলের ফৌজের বিরুদ্ধে হামাস যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, তার প্রশংসা করেছেন রাইসি। তিনি জানান, ইসরায়েলকে বাধা দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তাই এই লড়াইয়ে ইরান সর্বতো ভাবে হামাসের পাশে আছে। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আরব দেশগুলিকে হামাসের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। এ বার আরব দেশগুলির সামনে বসেই বিপরীত আহ্বান জানালেন ইরান প্রেসিডেন্ট।
শনিবারের বৈঠকে ওআইসির নেতারা একযোগে ইসরাইলের অমানবিক কাজের সমালোচনা করলেও হামাসের নিন্দা তাদের মুখে শোনা যায়নি । ইসরাইলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মুসলিম দেশ সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ সালমান ইসরাইলের আক্রমণের নিন্দা করেছেন । একইসঙ্গে মানবাধিকারের নামে পশ্চিমাদেশগুলি দ্বিচারিতা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন । ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুবরাজ বলেন, অবিলম্বে গাজায় বোমা বর্ষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন ।