এসএসসি সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি শেষ করতে হবে দু মাসের মধ্যে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টে ফেরত পাঠালো মামলা সুপ্রিম কোর্ট
বাংলার জনরব ডেস্ক : আগামী দু মাসের মধ্যে এসেছি এর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করতে হবে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের একইসঙ্গে এই সংক্রান্ত সব মামলায় হাইকোর্টে ফেরত পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট।বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলার শুনানিও আগামী ছ’মাসের মধ্যে শেষ করতে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।
এই মামলাগুলির শুনানিতে ক্রমাগত দেরি হচ্ছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মামলাকারীরা। সম্প্রতি আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চকে অনুরোধ করেন, শুনানি যেন আর না পিছোনো হয়। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এই মামলা সংক্রান্ত শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। সেখানেই সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নেয় মামলাগুলি হাই কোর্টে ফোরানোর। তবে একই সঙ্গে এই মামলার তদন্তকারী সিবিআইকেও বিশেষ নির্দেশে তারা বলে, তদন্ত শেষ করতে হবে দু’মাসের মধ্যে।
এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষায় একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষকের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে অনেকগুলি মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে নিয়োগে অনিয়মের পাশাপাশি ওএমআর শিট প্রকাশ-সহ নানা বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট যে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল, তাতেও স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তারা জানিয়েছিল, সবক’টি মামলা আলাদা করে শুনানি হবে। যদিও কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রতিবারই শুনানি পিছিয়ে যেতে থাকে নতুন নতুন তারিখে। বৃহস্পতিবার অবশেষে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কাছে এই মামলা যাবে। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করবেন। ওই বেঞ্চই মামলাগুলির শুনানি করবে। চাকরি থেকে বরখাস্ত, নতুন চাকরির সুপারিশ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সেই শুনানি ডিভিশন বেঞ্চকে শেষ করতে হবে ছ’মাসের মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে নতুন কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না এসএসসি।
অন্য দিকে, এসএসসি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে বিশেষ নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলে, তাদেরও এসএসসি সংক্রান্ত বাকি থাকা সমস্ত তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।