কংগ্রেসের অভিযোগকে কার্যত স্বীকার করে নির্বাচন কমিশনের দাবি লোডশেডিং হওয়ার কারণেই বন্ধ ছিল স্ট্রংরুমের সিসিটিভি ও লেড স্ক্রিন
বাংলার জনরব ডেস্ক : কংগ্রেসের অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিল নির্বাচন কমিশন । কয়েকদিন আগে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল ভোটের পর ইভিএম গুলিকে যেখানে রাখা হয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই । রবিবার নির্বাচন কমিশনএকথা স্বীকার করে জানিয়েছে ভোপালের স্ট্রংরুমে একঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল সিসিটিভি । কারণ হিসেবে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ওই একঘণ্টা কোনও ফুটেজ রেকর্ড করা যায়নি।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভোপাল কালেক্টর স্টেটের তরফে আমাদের জানানো হয়েছে ভোপালে স্ট্রংরুমের বাইরে লাগানো সিসিটিভি ও লেড স্ক্রিন কাজ করেনি। ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টা ১৯ থেকে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল সিসিটিভি ও লেড স্ক্রিন। তারপর সেখানে জেনারেটর ও ইনভার্টার লাগানো হয়েছে।”
তবে ক্যামেরা কাজ না করলেও সেখানে মোতায়েন ছিল নিরাপত্তারক্ষী। তারা লগবুকে সব নোট রাখেন। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, একটি স্ট্রংরুমের দরজা খোলা ছিল। যদিও পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। তাদের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মে একটি অভিযোগ জানিয়েছে।
কংগ্রেস সাংসদ বিবেক টাঙ্খা অভিযোগ করেন, শুধু ভোপালে সিসিটিভি বন্ধের ঘটনাই নয়। রাজ্যের সাগর জেলায় খুরাই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা পর স্ট্রংরুমে পাঠানো হয় ইভিএম। একটি নম্বরবিহীন বাসে করে ইভিএম গুলিনিয়ে আসা হয়। যা স্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে সেইগুলি অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ নির্বাচন কমিশন। গাফিলতির জন্য এক আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।