জেলা 

সামাজিক উন্নয়নে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসার বার্তা ইউনিসেফের অনুষ্ঠানে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

৩১ অক্টোবর ২০২৩, কন্টিনেন্টাল লজ, মালদা: রাজ্যের মা ও শিশু স্বাস্থ্যসহ কিশোর কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা সমাধানে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসার বার্তা দেওয়া হল ইউনিসেফের অনুষ্ঠানে। গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ মালদা টাউনের কন্টিনেন্টাল লজে মালদা, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে ইউনিসেফের সহযোগিতায় আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি জালালউদ্দিন আহমেদ মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যারা বিগত ৩ বছর কাজ করে আসছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ।

আগামীদিনে আরও বেশি বেশি মানুষের সাথে সংযোগের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের আশা ব্যাক্ত করেন। এছাড়া তিনি ইন্টার ফেইথ অ্যালায়েন্স আয়োজনের উদ্দেশ্য এবং ইন্টার ফেইথ অ্যালায়েন্স উদ্যোগের কারণ ব্যাখ্যা করেন । আমানত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহ আলম ইন্টার ফেইথ অ্যালায়েন্স আনুষ্ঠানিকীকরণ ও গঠন নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তাঁর মতে, শিশুর জন্মের পর মায়ের দুধ শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই বিষয়গুলি নিয়ে যদি জুম্মার নামাযের খুতবার পর, রবিবার গুরুদোয়ারা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচনা শুরু করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের থেকে ভুল ধারণা দূর করা এবং সমাজের উন্নয়ন সম্ভব। এই বিষয়ে আঞ্চলিক ভাষার বইগুলি খুব শীঘ্র প্রকাশ করার জন্য কাজ করছেন তাঁরা। ইউনিসেফ-এর পশ্চিমবঙ্গের প্রধান ডঃ অমিত মেহরোত্রা বিশেষ ভাষণ এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

Advertisement

ইউনিসেফের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট সুচরিতা বর্ধন ইন্টার ফেইথ অ্যালায়েন্স-এর কার্যকলাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার কথা উল্লেখ করেন। মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটররা ইন্টার ফেইথ অ্যালায়েন্স-এর সদস্যদের কার্যাবলী প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন । ইউনিসেফ এবং আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট দীর্ঘদিন থেকে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিশু সুরক্ষা, ওয়াশ, বাল্যবিবাহ, কিশোরীদের গর্ভধারণ, শিশু ও নারী পাচার, শিশু শিক্ষা, বিপর্যয় মোকাবিলার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করছে। এই বিষয়গুলি মোকাবিলা করার জন্য তারা এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন। এই সমস্ত সামাজিক বিষয়গুলির সঙ্গে ধর্মীয় মতামতের মেলবন্ধন করে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষায় তারা কতগুলি পুস্তিকা প্রকাশ করতে চলেছে। এই পুস্তিকাগুলিতে সামাজিক সমস্যাগুলিকে ধর্মের আলোতে দেখানোর চেষ্টা চেতনার করবেন তাঁরা।

সেক্ষেত্রে খুব সহজেই শিশু থেকে মাতৃত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন কুসংস্কারপূর্ণ মানসিকতা দূর করা সম্ভব বলে মনে করেন বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা। এমন সার্বিক ভূমিকা সব ধর্মীয় নেতারাই পালন করতে পারেন। বিশেষ করে সামাজিক কর্মকাণ্ডে ধর্মীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর দেব রঞ্জন লাইয়ের বিদায় ভাষণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ