দেশ 

রাজনৈতিক দলগুলিকে কারা টাকা দেয় সেটা জানার অধিকার দেশের জনতার নেই সুপ্রিম কোর্টে এই আজব দাবি করলো মোদি সরকার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এদেশের জনতাকে যে কিছুই ভাবেন না তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সাধারণ মানুষের কোন ভাবাবেগ কে সেই অর্থে গুরুত্ব দেন না নরেন্দ্র মোদি। সেটা আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি করোনাকালে লকডাউন এবং তার আগে নোট বন্দি করার ক্ষেত্রে। নোট বন্দি বলুন আর আর লকডাউন বলুন এসব ক্ষেত্রে যে সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়। সেই বিষয়টি মোদি সরকার কিংবা নরেন্দ্র মোদি বুঝতে চাননি বা ইচ্ছা করে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে আনায় তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল।

তাই সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে নির্বাচনী  বন্ড বা ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র সরকার এক অসম্ভব অযৌক্তিক এবং আজব দাবি করেছে।আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি জানান, তথ্যের অধিকার আইনে রাজনৈতিক দলগুলির অনুদান তথা নির্বাচনী বন্ডের উৎস জানার অধিকার নেই আমজনতার। অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তি দেন, সংবিধান সবকিছু জানার অধিকার দেয় না জনতাকে। বিশেষ ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত গোপনীয়তার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।

Advertisement

এর আগে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ মামলা উঠেছিল। এর পর তা বৃহত্তরও বেঞ্চে পাঠানো হয়। সেই মতো ৩১ অক্টোবরে শুরু হবে শুনানি। প্রয়োজনে ১ নভেম্বরও শুনানি হতে পারে। যদিও তার আগে সোমবার আদালতকে বিশেষ বার্তা দিল কেন্দ্র। অ্যাটর্নি জেনারেলের এদিনের বক্তব্য স্পষ্ট, শীর্ষ আদালত এই মামলায় ‘নাক গলাক’ চায় না কেন্দ্র।

এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল উল্লেখ করেন, যে নির্বাচনী বন্ড স্কিম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সেটি অনুদানদাতাকে গোপনীয়তার সুরক্ষা দেয়। স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি করদানের যাবতীয় বাধ্যবাধকতা মেনে চলে। এই পদ্ধতি কোনওরকম আইনি অধিকারকে লঙ্ঘন করে না বলেই মত ভেঙ্কটরামানির।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে। এর ফল গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি।

কেন্দ্রের এই আজব দাবি থেকে এটা প্রমাণিত হয় সরকার যা করবে তাকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা জনতার নেই। অথচ গণতান্ত্রিক দেশের অনিবার্য নিয়ম হচ্ছে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের কথা জনতা জানতে পারবে আর এজন্যই তৈরি হয়েছিল তথ্য জানার অধিকার আইন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ