আন্তর্জাতিক 

ইসরাইলি হামলায় দুই সপ্তাহে ২৬ টি মসজিদ সহ স্কুল ও জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার দফতর এবং কোরআন শিক্ষার রেডিও স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : হামাসের উপর হামলা করার নাম করে ফিলিস্তিনি জনতার উপরে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল এই অভিযোগ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের। এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল গাজা থেকে প্রকাশিত এক খবরের ভিত্তিতে। বিগত ১৫ দিনে ইসরাইল যে নির্বিচারে গাজার উপরে বোমাবর্ষণ করেছে তাতে অসামরিক এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে এক মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি করে ইসরাইল যেভাবে অমানবিক অত্যাচার করছে ফিলিস্তিনিদের উপরে তার নিন্দা করার ভাষা জানা নেই।

জানা গেছে বিগত ১৫ দিনে ইসরাইলি হামলায় স্কুল কলেজ এবং জাতিসংঘের ত্রাণ রাখার গুদামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৬ টি মসজিদ।

Advertisement

শনিবার গাজাভিত্তিক এনডাউমেন্টস অ্যান্ড রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রি এসব তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার বেশিরভাগ এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় আরও কয়েক ডজন মসজিদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতে বলা হয়, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর, মন্ত্রণালয়ের কোরআন রেডিও স্টেশন ও একটি গির্জাও ধ্বংস করেছে।গাজার ওপর আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ইসরাইলকে বেসামরিক মানুষ, মসজিদ এবং গির্জায় অপরাধমূলক আচরণে দায়বদ্ধ করার এবং তাদের বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গাজার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আল আকসা ফ্লাড অভিযান শুরু করেছে হামাস। তারা জানিয়েছে যে, আল-আকসা মসজিদে ঝড় ও ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

হামাসের হামলার জবাবে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজায় অপারেশন সোর্ডস অব আয়রন শুরু করে তারা।

গাজায় হামলার পাশাপাশি সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইল। তাদের হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। প্রতিদিনই মৃত্যু, আহত এবং বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বাড়ছে। এমন ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আরও প্রকট সংকটের মুখে পড়তে পারে গাজাবাসী। সেখানে দেখা দিতে পারে, ডায়রিয়া, কলেরার মতো সংক্রামক রোগ।

অক্সফাম ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় কলেরাসহ পানিবাহিত অন্য মারাত্মক সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে সেখানে। দ্রুত জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া না হলে গাজায় জনস্বাস্থ্যে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় গাজায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরাইলি নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ