সাতঘরা হাই মাদ্রাসায় নবী দিবস উপলক্ষে সভায় কোরআন বিতরণ
বিশেষ প্রতিনিধি: গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ সাতঘরা হাই-মাদ্রাসার ঈদ-ই-মিলাদ-উন-নবি উপলক্ষে বিশেষ সভা এবং কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও এই পবিত্র অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার দুই বর্ষীয়ান স্বনামধন্য শিক্ষক সেখ সফিউল হক এবং মাওলানা মূহাম্মদ আব্দুল হামিদ সাহেবকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয় । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান জনাব মুহাম্মদ শাহ আলম, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক আব্দুল হামিদ, সাতঘরা হাই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শেখ তৈয়ব আলী সম্পাদক সেখ নূরনবী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইবাদুল ইসলাম সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
ঈদ-ই-মিলাদ-উন-নবি হল শেষ নবির জন্মদিন হিসেবে মুসলমানদের পালিত একটি উৎসব। হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল-এর বারো তারিখে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশি মুসলমানরা এই দিনকে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী বলে অভিহিত করেন। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কাছে এই দিন বিশ্ব নবি দিবস আবার ফতেহা দোয়াজ দহম ও ১২ রবিউল আওয়াল নামেও পরিচিত।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম সামাজিক সংস্কারের পাশাপাশি মেয়েদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নবীজি বলেছেন তিনি সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবান এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা যার তিনটে মেয়ে রয়েছে এবং সেই মেয়েগুলোকে ভালো শিক্ষা দিয়েছেন এবং ভালভাবে বিয়ে দিয়েছেন।নবীজি দুটি আঙুল তুলে বলেছেন জান্নাতে তারা আমার পাশাপাশি থাকবে। আল্লাহ সেই বাবা মার জন্য উত্তম পুরস্কার নির্ধারিত করেছেন। বিশ্ব নবী দিবস উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলি বলেন জনাব মুহাম্মদ শাহ আলম সাহেব ।
একই সঙ্গে কেরাত, গজল ও নবীজির জীবন নিয়ে বক্তৃতা প্রতিযোগিতার প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানাধিকারীদের কোরআন শরীফ তুলে দেন মুহাম্মাদ শাহ আলম সাহেব। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় নবীজির ২৩ বছরের নবী জীবনের বর্ণনা দেন একইসঙ্গে মেয়েদেরকে ইসলাম ধর্ম ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম কিভাবে মর্যাদা দান করেছেন তার বিবরণ দেন। তিনি যেদিন বলেন সেই পুরুষই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। এটা নবীজির নির্দেশ। সুতরাং সামাজিক বন্ধন কে কিভাবে দৃঢ় করা যায় তাও তিনি তার পথনির্দেশের মধ্য দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।
নবীজির জীবনকে অনুকরণ করতে হলে কোরআন শরীফকে আত্মস্থ করতে হবে। কুরআন শরীফ মূলত আরবি ভাষায় লেখা তাই তার অনুবাদ পড়ে আমরা যদি উপলব্ধি করতে পারি তবেই নবী আদর্শকে গ্রহণ করতে পারব এবং আমাদের জীবনে তা বাস্তবায়িত করতে পারব। সেই উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে আমরা কোরআন মাজিদ বিতরণ করছি আমাদের অনুরোধ যারা কোরআন শরীফ নিচ্ছেন তাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন পাঁচটি করে আয়াত পড়ার জন্য। এবং জীবনে তা প্রতিফলিত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। জীবনকে কোরানিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে আমাদের সমাজের সব সমস্যার সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মুহাম্মদ শাহ আলম। সেখ নূরনবী সকলকে আল্লাহ পাকের হুকুম ও নবীজির তরিকা অনুযায়ী নিজের জীবনযাপন করতে বলেছেন ।
সেখ আব্দুল হামিদ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কেরিয়ার গড়ে তুলতে হবে তার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে সেদিকে লক্ষ্য দেওয়াটা আমাদের সকলের জরুরি। এদিনের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জনাব শেখ তৈয়ব আলী সাহেব।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত :
পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন সেখ নূরনবী এবং মূহাম্মদ শাহ আলম সাহেব