কলকাতা 

ছাত্র-ছাত্রীদের মনোজগৎ নিয়ে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে, পাঠভবনের কর্মশালায় অভিভাবকদের বললেন মনোবিজ্ঞানী ঈশিতা সান্যাল

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি : আজ পাঠভবন ডানকুনি স্কুলে বিশেষ এক অভিভাবক সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ড. ঈশিতা সান্যাল। বর্তমানে, বিশেষত কোভিড পরবর্তী সময়ে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে কিছুটা অমনোযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসহনীয়তা, মেজাজ হারানো, অতি চঞ্চলতা এমনকি বিষাদগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অভিভাবকেরা কিছুটা অসহায় হয়েই এর প্রতিকার ও তাঁদের কর্তব্য বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের কাছে এই ধরণের একটি আলোচনা সভার আহ্বান করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

আজ হ’ল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য। প্রায় ২০০ জন অভিভাবক-অভিভাবিকা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সন্তানদের নানান সমস্যা ও তার যথাযথ প্রতিকার বিষয়ে মনোবিজ্ঞানী ড ঈশিতা সান্যাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাঞ্জল বক্তব্য রাখেন। একটি প্রশ্নোত্তর পর্বও চলে প্রায় এক ঘন্টা। অভিভাবক-অভিভাবিকারা জানান তাঁরা অত্যন্ত উপকৃত হলেন এই সুন্দর আলোচনায়। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হিন্দু স্কুলের প্রথিতযশা শিক্ষক ড সন্দীপ রায় ও পাঠভবন সোসাইটির মাননীয় প্রতিনিধি বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত। পাঠভবন ডানকুনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড দেবব্রত মুখোপাধ্যায় আজকের দিনে এই ধরণের আলোচনার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। স্কুলের একাদশ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী যাদের মনোবিজ্ঞান বিষয় আছে তারাও ভালো ও আদর্শ অভিভাবকত্বের ওপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখে। তাদের মতে পরিবারে ছোটদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া এবং কারো সঙ্গে তুলনা না করা খুবই প্রয়োজন। তাদের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুযোগ দিতে হবে।

Advertisement

উপস্থিত ছিলেন কলকাতা “অনুসন্ধান ” সংস্থার অন্যতম প্রধান সদস্য শিক্ষক নায়ীমূল হক ও গৌরাঙ্গ সরখেল। এডুক্যান্টিনের কর্ণধার শুভজিৎ মাইতি সহ আরও অনেকে। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরাও রবিবার ছুটির দিনেও বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে তাঁদের মহান দায়িত্ব ও কর্তব্যের নজির রাখেন। সর্বোপরি উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীরা ভীষণভাবে উপকৃত হওয়ার কথা জানায় যা সত্যিকারের বড় প্রাপ্তি। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় সভা শেষে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ