জেলা 

স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যেই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের হাতাহাতি ভিডিও ভাইরাল হতেই বিপত্তি, কেন এই হাতাহাতি? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : সরকার অনুমোদিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয় গুলিতে যেসব শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি করেন তারা যে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে সবাই চাকরি করেন তা বলা যাবে না। বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন যারা সত্যিকার অর্থে শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করে থাকেন এবং তাদের জন্যই নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আর কিছু শিক্ষক আছেন শিক্ষকতাকে নিজের পেশা হিসাবে নিয়েছেন। যদি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কিংবা সরকারের শিক্ষা দপ্তর নিয়মিত স্কুল গুলোকে পরিদর্শন করে তাহলে দেখতে পাওয়া যাবে প্রতিটা বিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষক সময় মত আসেন না। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয় বলে খবর পাওয়া যায়।

আর যেসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই টিচার ইনচার্জ দিয়ে স্কুল চালানো হচ্ছে সেইসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাবে শিক্ষকরা নিয়ম মত আসেন না। আর এলেও তাড়াতাড়ি চলে যান। এই প্রবণতা বন্ধ করতে হলে সরকার এবং শিক্ষা দপ্তরকে করা হাতে দমন করতে হবে কিন্তু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে মমতা সরকার তো বটেই এর আগে বামফ্রন্ট বামফ্রন্ট সরকার ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে করা অবস্থান নেয়নি।

Advertisement

সুতরাং আসি যাই মাইনে পাই এই প্রবণতা অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মত শিক্ষকদের দিন দিন গ্রাস করে চলেছে। সম্প্রতি বর্ধমান জেলার হাট গোবিন্দপুর হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা আবার সামনে চলে এলো।

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাটগোবিন্দপুর হাই স্কুলের ওই মারামারির ঘটনাটি গত ১৩ সেপ্টেম্বরের। প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে সহ-শিক্ষকের মারামারির দৃশ্য কেউ ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন। সম্প্রতি তা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখান থেকে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

ওই স্কুল সূত্রে খবর, অটোমোবাইল বিষয়ের শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু রায় বেশ কয়েক দিন হল সময় মতো স্কুলে আসছেন না। এ নিয়ে বার কয়েক প্রধানশিক্ষক অশোককুমার জোয়ারদার তাঁকে সাবধান করেছেন। কিন্তু জোর দ্বন্দ্ব শুরু হয় গত ১৩ সেপ্টেম্বর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন শিক্ষক জানাচ্ছেন, সে দিনও দেরি করে স্কুলে এসেছিলেন কৃষ্ণেন্দু। এ নিয়ে প্রধানশিক্ষক তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যেতেই শুরু হয় বচসা। তর্কাতর্কি থেকে একে অন্যের গায়ে হাতে তুলতে বেশি সময় নেননি দু’জন। প্রধানশিক্ষক এবং সহ-শিক্ষকের লড়াই থামাতে ছুটে আসেন অন্য শিক্ষকেরা। কিন্তু রীতিমতো বেগ পেতে হয় তাঁদের। ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় একে অপরের উদ্দেশে কুকথাও বলতে শোনা যায় দু’জনকে।

এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, ‘‘শিক্ষাঙ্গনে এমন ঘটনা দুঃখজনক। শিক্ষকেরা সমাজের মেরুদণ্ড। তাঁরা দায়িত্বশীল মানুষ। এই দৃশ্য দেখার পর মনে হচ্ছে তাঁদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’’ অন্য দিকে, জেলা বিজেপির মুখপাত্র সৌমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘আজকাল শিক্ষাব্যবস্থা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়াচ্ছেন। আসলে শিক্ষা বলে কিছু নেই। সব কিছুতেই এখন ভাগবাঁটোয়ারার ব্যাপার।’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ