বাংলাদেশ পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের সংসদে মহিলা সংখ্যা কম!
বাংলার জনরব ডেস্ক: সংসদে পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল যা নিয়ে ইতিমধ্যেই মোদি সরকার এর কৃতিত্ব দাবি করেছে। যদিও মহিলার সংরক্ষণ বিল বিজেপি বা মোদির সরকার কৃতিত্ব দাবি করতে পারে না কারণ এর আগে কংগ্রেস সরকার দিলানা চেষ্টা করেছে সমাজবাদী পার্টি ও আরজেডি এর জন্য তা সম্ভব হয়নি।
তবে কথা ঠিক এই মুহূর্তে লোকসভায় বা বিধানসভায় মহিলার সংরক্ষণ খুবই জরুরী। মনে করা হচ্ছে সংসদে পেশ করা এই বিলটি পাস হয়ে যাবে কারণ কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়েই এই বিলের পক্ষে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই বিশ্বের নিরিখে ভারত আইনসভায় মহিলাদের কমই পাঠিয়েছে।তথ্য বলছে, লোকসভায় মহিলা সদস্যের সংখ্যার হিসেবে ১৮৫টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৪১ নম্বরে।
দেশের মাত্র ১৫ শতাংশ সাংসদ মহিলা। যা সারা বিশ্বের গড় হিসেবের অনেক নিচে তো বটেই। এমনকী, প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের থেকেও তা শতাংশের হিসেবে কম।
মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে বিশেষ অধিবেশন চলছে। সেখানে মোদি বলেন, মহিলা সংরক্ষণ বিলের (Women Reservation Bill) নাম দেওয়া হবে ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে বেশ কয়েকবার এই বিল পেশ করা হয়। কিন্তু যথেষ্ট সমর্থনের অভাবে পাশ করানো যায়নি এই বিল। তবে আমি মনে করি ভগবান আমাকেই বেছে নিয়েছেন এই বিলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।”
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তাঁর মতে, বাজপেয়ী আমলের অনেক আগে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই এই বিলের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই বিলের নাম পরিবর্তন করে জনতাকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে সরকার।
উল্লেখ্য আমরা কথায় কথায় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের বিরোধিতা করলে তারা কিন্তু মহিলাদের অগ্রাধিকার দিয়েছে অন্তত সংসদে ভারতের চেয়ে বেশি সদস্য রয়েছে। ইসলামিক দেশ বলে এই দুই দেশকেই খানিকটা অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়ে থাকে, তবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই আইনসভার সদস্য সংখ্যায় দিক থেকে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এগিয়ে থেকে এটা প্রমাণ করেছে ইসলাম মহিলাদেরকে সমান সুযোগ দিয়েছে