“বাকস্বাধীনতা যেন ঘৃণাভাষণ না হয়ে ওঠে” মন্তব্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের
বাংলার জনরব ডেস্ক: দেশজুড়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ যেভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাতে দেশের সংহতি বিপন্নের পথে এই পরিস্থিতিতে একমাত্র আদালতে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। শুক্রবার একটি মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে।আদালতের পর্যবেক্ষণ, বাকস্বাধীনতা কখনই ঘৃণাভাষণ হতে পারে না।
সম্প্রতি দক্ষিণের একটি সরকারি আর্ট কলেজে ‘সনাতন ধর্মের বিরোধিতা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা হয়। ওই আলোচনায় দাবি করা হয়, সনাতন ধর্ম বর্ণবিদ্বেষ ছড়ায়, ছুঁৎ-অচ্ছুৎ-এ বিশ্বাস করে তারা। এর বিরোধিতায় মামলা ওঠে বিচারপতি এন সেশাসয়ীর বেঞ্চে। বিচারপতি সনাতন ধর্ম বর্ণবিদ্বেষ ছড়ায়-এই ভাবনাকে খারিজ করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে অস্পৃশ্যতা বরদাস্ত করা যায় না। সনাতন ধর্মের নামেও তা হলে গ্রহণযোগ্য নয়। সংবিধানের ১৭ নং ধারা অনুযায়ী বেআইনি।
এইসঙ্গে বিচারপতি বলেন, বাকস্বাধীনতা দেশের সমস্ত নাগরিকের অধিকার। তাই বলে বাকস্বাধীনতার নামে ঘৃণাভাষণ মেনে নেওয়া হবে না। বিশেষ করে যখন ধর্ম নিয়ে কথা হবে, তখন অন্যের ভাবাবেগে যাতে আঘাত না লাগে, সেকথা মাথায় রেখেই কথা বলতে হবে। আদালতের মন্তব্য, “প্রত্যেক ধর্ম বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত, প্রাকৃতিক বিশ্বাস যুক্তিবাদের ঊর্ধ্বে।” ফলে “বাকস্বাধীনতা যেন ঘৃণাভাষণ না হয়ে ওঠে।”