মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থেকে সাইকেলে করে হজ যাত্রায় বেরিয়ে পড়লেন নুরেমান শেখ!
বাংলার জনরব ডেস্ক : লক্ষ্য আল্লাহর ঘর জিয়ারত করা। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অনেক মানুষ আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কেউ হেঁটে হজ করেছেন আবার কেউ সাইকেলে চেপে গিয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমবাংলার এক বাসিন্দা আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণেই তাঁর শেষ ইচ্ছা আল্লাহর ঘর কাবা দর্শন করা কিংবা জিয়ারত করা সেই উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। পশ্চিমবাংলার মুর্শিদাবাদ থেকে সুদূর মক্কা ও মদিনা শরিফ। ভাবা যায়! পাঠকবর্গ অবাক হচ্ছেন, না অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাই বাস্তব! মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানার উত্তর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা নূরেমান শেখ সাইকেলে চেপে হজে রওনা দিয়েছেন।
বয়স ৫৫ বছর। আর এ বয়সেই হাজার হাজার কিলোমিটার পেরিয়ে যেতে হবে মক্কায়। পথ বড় দুর্গম পাসপোর্ট অবশ্যই আছে কিন্তু নেই ভিসা। কিভাবে যাবেন এই প্রশ্নের উত্তরে নূরেমান শেখ জানিয়েছেন আল্লাহকে ভরসা করে বেরিয়ে পড়লাম আশা করি কোথাও বাধা হবে না, যদি কোথাও বাধা পায় তাহলে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসবো। তাঁর এই উদ্যোগকে এলাকার সকলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি আজ মঙ্গলবার সাইকেলে চেপে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
ভারত সীমান্ত পেরিয়ে তিনি পৌঁছে যাবেন পাকিস্তানে, পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ইরান হয়ে সৌদি আরব পৌঁছে যাবেন। যেতে তার সময় লাগবে কমপক্ষে ছ মাস। আর প্রতিদিন তাকে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে পাড়ি দিতে হবে। রাত্রি যাপন করতে হবে মসজিদে এভাবেই তাকে চলতে হবে। কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করার যে চেষ্টা তিনি করে যাচ্ছেন তাতে তিনি কতটা সফল হবেন তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে নূরেমান শেখের এই উদ্যোগকে সকলেই স্বাগত জানাচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর ইচ্ছা যাতে পূরণ হয়, স্রষ্টার কাছে হিন্দু মুসলমান সবাই প্রার্থনা করছে।
তবে তার এই সাইকেলে করে হজে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে এলাকার বিডিও ,এসডিও ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা শুধুমাত্র এটাকেই সম্বল করে হাতে পাসপোর্ট নিয়ে প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন নূরেমান সেখ। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ভাই পৌঁছে যাব চাঁদের দেশে সেই বহুদিন আগেকার এক চলচ্চিত্রের দৃশ্যের কথা মনে পড়ে যায় । নূরেমান শেখও একদিন সাইকেল চালাতে চালাতে পৌঁছে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে ।দেখতে পাবে স্রষ্টার সেই ঘর যাকে দর্শন করার জন্য তিনি ঘর থেকে একটি সাইকেলকে সম্বল করে বেরিয়ে পড়েছেন।