কলকাতা 

আদালতেই দূর থেকে দেখলেন পার্থকে, কথা বলতে পারলেন না শোভন, মমতার একদা ঘনিষ্ঠের আক্ষেপ

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : আদালতেই দুজনে। দুজনেই এক সময় একই দলের রাজনৈতিক নেতা বা কর্মী ী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ ছিলেন। দুজনই এখন পদ খুইয়েছেন। একজন ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র আরেকজন ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী। আজ দুজনই আদালতে হাজির হয়েছিলেন ভিন্ন ভিন্ন মামলায়।

একজন জেলের ভেতরে কয়েদি হিসাবে জীবনযাপন করছেন অন্যজন এখন রাজনীতির মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন। একজনের নাম শোভন চট্টোপাধ্যায় অন্য জনের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতের ভেতরে দুজনের অবস্থান। একজন কোট লক আপে রয়েছেন অন্যজন বাইরে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই দেখা করার লোভ সংবরণ করতে পারলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপেক্ষা করতে বলে চলে গেলেন পার্থের কাছে।

Advertisement

কিন্তু পার্থ তো এখন বন্দি বিচারাধীন বন্দি, যে স্বাভাবিকভাবেই পার্থের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব নয়। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়ে দেখা না করি ফিরে এলেন শোভন। তারপর সাংবাদিকদের বললেন,‘‘দূর থেকে দেখলাম। দেখা করার সেই পরিবেশ, পরিস্থিতি নেই।’’ তবে তিনি যদিও মনে করছেন, পার্থ পরিস্থিতির শিকার বলেই এ রকম হল। তাঁর কথায়, ‘‘পার্থদা পরিস্থিতির শিকার তো বটেই! আমাকেও তো গ্রেফতার করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তো আর প্রশাসন থেকে আলাদা কিছু নয়! এত দিন এক সঙ্গে ছিলাম। না দেখা করে চলে গেলে মনে হত, এখান থেকে চলে গেলাম!’’

শনিবার সকালে আলিপুর আদালত চত্বরে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে বেদনার জনক হলেও অন্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অবশ্যই শিক্ষনীয়। কারণ একসময় এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী হিসাবে অহংকারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতেন না কিংবা এই শোভন চট্টোপাধ্যায় কি আমরা দেখেছি। কত অহংকার তার ছিল আজ সব অহংকার ধুলোয় মিশিয়ে গেছে। একজন আছেন ছেলে আর একজন রাজনীতির পদপ্রদীপ থেকে বিদায় নিয়েছেন

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ