জেলা 

পঞ্চায়েতে অপ্রত্যাশিত ফলাফল সমবায় সমিতির নির্বাচনেও তেহট্টে লাল ঝড়, বাংলা জুড়ে বামেদের উত্থান কি শুধু সময়ের অপেক্ষা?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি: সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়ার তেহট্টে খুব ভালো ফল করেছিল বামেরা। সেই ফলে অব্যাহত রাখল গতকালের সমবায় সমিতির নির্বাচনে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে তেহট্টে লাল ঝড় উঠেছিল কার্যত সমবায় সমিতির নির্বাচনে সেই ঝড় দেখা গেল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কোথায় যেন এই এলাকায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি পশ্চিমবাংলায় জুড়ে উঠবে লালঝড়। সেটা ভবিষ্যৎ বলবে তবে তেহটটো পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সমবায় সমিতির নির্বাচনের এই ফলে সিপিএম যে উজ্জীবিত তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

তাদের দাবি গণমাধ্যমের দ্বারা পরিচালিত বিজেপি এবং তৃণমূল যে বাইনারি রাজ্যের শুরু করেছে তা আসলে সত্য নয় বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় বামেরা এখন শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। একথা মিডিয়া স্বীকার না করলেও সাধারণ মানুষ তাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। উল্লেখ্য তেহট্টে ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে এর অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে বামেরা দখল করেছে আর কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত অন্য বিরোধীদলের দখলে গেছে। তবে একটিমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সম্প্রতি দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এর ফলে ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত মাত্র তৃণমূলের দখলে তা জনতার রায় নয় দল বদলের মাধ্যমে।

রবিবার তেহট্টের নটনা সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়। রবিবার রাতেই ভোটগণনা হয়। সোমবার জানা গেল ৫০ আসনের সমবায় সমিতির ৪৪টিতে জয়ী হয় বামেরা। বাকি ৬টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপি একটি আসনও পায়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সমবায় নির্বাচনেও এই জয়ে উচ্ছ্বসিত বাম নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য, তেহট্ট-১ ব্লকের অধীনে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় সবক’টি বিরোধীদের দখলে চলে যায়। ভোটের ফলাফলের পর একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শুধু সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতেই তৃণমূলের অস্তিত্ব রয়েছে।

যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি জুলফিকর আলি খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘নিজেদের সদস্যদের আশির দশক থেকে ভোটার করে রেখে দিয়েছে বামফ্রন্ট। এটা (সমবায়) ওদের দলের অভ্যন্তরের নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই নয়।’’ যদিও এই জয়ের মধ্যে দিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য আশার আলো দেখছেন বাম নেতৃত্ব। প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিৎ মণ্ডলের কথায়, ‘‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে বামেদের খুব ভাল ফলাফল হবে। এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী। পর পর নির্বাচনী ফলাফলে সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।’’

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলের পর সমবায় নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত এই ফলাফল কার্যত সিপিএমকে নতুন করে অক্সিজেন দিল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। অনেকে বলছেন তেহট্ট থেকেই সিপিএমের নতুন করে পুনরুত্থান ঘটলো।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ