“অভিষেককে নাকি ভোটের আগে গ্রেফতার করে নেবে!’’ দাবি মমতার, কেন এই দাবি করলেন?
বাংলার জনরব ডেস্ক : আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইলে বার্তা এসেছে! আজ ২৮শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমতো এই বিস্ফোরক তথ্য পেশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা এদিন বলেন, ‘‘এত প্রতিশোধপন্থী সরকার আমি আগে কখনও দেখিনি। সে দিন আমার ফোনে একটা মেসেজ পাঠিয়েছে। অভিষেককে নাকি ভোটের আগে গ্রেফতার করে নেবে।’’
এর পরেই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস প্রসঙ্গ উঠে আসে মমতার ভাষণে। তিনি বলেন, ‘‘ওদের কম্পিউটারে যা ছিল, নিয়ে নিয়েছে। কাউকে না জানিয়ে ইচ্ছামতো কাজ করেছে। বাইরে থেকে ফাইল ডাউনলোড করে কম্পিউটারে ঢুকিয়ে দিয়েছে।’’ ইডির উদ্দেশে মমতার বক্তব্য, ‘‘তোমরা যদি কম্পিউটারে ওস্তাদ হও, আমরাও ওস্তাদ। ঠিক তথ্যটি বার করে নিয়েছি। আমরা ঠিক বুঝতে পেরেছি, তোমরাই ওই ফাইল ডাউনলোড করেছো। তার পরে থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। যিনি ডায়েরি করেছেন, তাঁকেও গ্রেফতার করে নেবে বলেছে। সকলকে গ্রেফতার করতে করতে একদিন জেলটা তোমাদের লোকেই ভরে যাবে।’’
গত সোমবার নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তিনটি এলাকায় তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। আলিপুরে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস নামের একটি সংস্থার দফতরেও যান ইডি আধিকারিকেরা। এই সংস্থায় সুজয়কৃষ্ণ একসময় উচ্চ পদে কাজ করতেন বলে দাবি ইডির। সংস্থায় প্রায় ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। ইডি চলে যাওয়ার পর সংস্থার এক কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ইডি তাঁদের কম্পিউটারে ১৬টি অচেনা মাইক্রোসফ্ট এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের অফিসে যান লালবাজারের তদন্তকারীরা। দু’টি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়।
সোমবার সুজয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন আরও দু’টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে একটি প্রকল্প এলাকা এবং লি রোডে সুজয়কৃষ্ণের মেয়ে এবং জামাইয়ের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। একযোগে তিন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়।
তল্লাশি অভিযানের পর লিখিত বিবৃতিতে ইডির দাবি, ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর চিফ এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও) তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক। তিনি যে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, মেয়ো রোডের সভা থেকে মমতা একপ্রকার তা নিশ্চিত করেই দিলেন। অভিষেক নিজেও সংস্থা সম্পর্কে একই কথা বলেছেন।