দেশ 

উত্তরপ্রদেশে এক শিক্ষিকার নির্দেশে সংখ্যালঘু ছাত্রকে প্রহারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানালো জামাআতের কেন্দ্রীয় তালিমী বোর্ডের

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি: ২৬ আগস্ট, নতুন দিল্লী: উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের খুব্বাপুরের এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রকে চড় মারা ও প্রহার একটি নিন্দনীয় ঘটনা এবং এঘটনায় জড়িত স্কুল ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের মারকাযী (কেন্দ্রীয়) তালিমি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ইঞ্জিনিয়ার। মিডিয়াকে দেওয়া এক বিবৃতিতে, কেন্দ্রীয় তালিমী বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, “ উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের নেহা পাবলিক স্কুলে এক শিশুকে চড় মারার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মিডিয়া চ্যানেলগুলিতে একটি ভিডিও খুবই ব্যাপকভাবে প্রচারিত হতে দেখা যায় যেখানে দেখা গেছে যে, স্কুলের একটি শ্রেণীকক্ষে মুসলিম পরিচয়বাহী/মুসলিম নামধারী একজন ছাত্রকে ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রদের তার মুখে এবং পিঠে একের পর এক চড় মারতে উদ্বুদ্ধ করছেন সেই স্কুলের একজন শিক্ষিকা । সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত এই ভিডিও থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা অন্যান্য মুসলিম ছাত্রদের বিরুদ্ধেও কিছু জাতিগত শ্লোগান এবং তাদের সাথে একই আচরন করার হুমকি পর্যন্ত দেন। একটি নিউজ পোর্টালের মতে, স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ না করার জন্য নির্যাতিত ছাত্রের পিতাকে নিয়মিত চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ছাত্র নিগ্রহের এই ভিডিওটি প্রচার বন্ধ করতে বলেছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর)।”

অধ্যাপক সেলিম ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “স্কুল ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় কেন্দ্রীয় তালিমী বোর্ড । এনসিপিসিআরের পক্ষ থেকে এর নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের প্রকাশ্যে নিয়ে আসা উচিত। এই ঘটনার দ্বারা শিশুর অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং এনসিপিসিআরকে এবিষয়ে দ্রুত এবং গঠনমূলকভাবে কর্মসূচি গ্রহন করতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত, দেশে বিরাজমান ঘৃণার পরিবেশ চরম আকার ধারন করেছে এবং তার ক্রোধ থেকে একজন স্কুলের ছোট বাচ্চারাও নিরাপদ নয়। ইসলামোফোবিয়া আজ স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসগুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সরকার কর্তৃক এটিকে সমাজের জন্য একটি ক্ষতিকারক দিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এবং এর হুমকি থেকে নিরসনের জন্য উপযুক্ত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকারিভাবে মোকাবেলা করা উচিত। পুলিশ, এনসিপিসিআর এবং আদালতের উচিত শিশু অধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অপরাধের জন্য উক্ত স্কুল এবং শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। নির্যাতিত স্কুল পড়ুয়াকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়া এবং তার যাবতীয় ক্ষতির জন্য তাকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া জরুরী। স্কুলটি সংশ্লিষ্ট রাজ্যর স্কুল বোর্ডের সমস্ত প্রয়োজনীয় মান এবং নিয়ম মেনে চলছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি স্থাপন করা উচিত, কারণ জানা গেছে যে স্কুলটি একটি বেসরকারি আবাসিক ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। যদি স্কুলের দ্বারা কোনরকমের নিয়মভঙ্গ বা বিধি লঙ্ঘনের প্রমান পাওয়া যায় তবে স্কুলের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত বলে মনে করে কেন্দ্রীয় তালিমী বোর্ড”।

Advertisement

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ