স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যু রহস্যের কিনারা খুব শীঘ্রই হবে জানালেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল
বাংলার জনরব ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর রহস্যজনক মৃত্যুর কিনারা খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে বলে রবিবার সকালে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। বাংলার সংবাদ মাধ্যমগুলির মধ্যে সর্বপ্রথম আমরাই গতকাল বলেছিলাম কলকাতা পুলিশকে প্রমাণ করতে হবে স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যুর পেছনে কারা রয়েছে। আমাদের এই লেখাটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সরকার এই লেখার পরেই কলকাতা পুলিশ অনেকটাই চাপে পড়েছে এবং দ্রুত তদন্তের করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
শুক্রবার পর্যন্ত যে গা ছাড়া ভাবছিল কলকাতা পুলিশের শনিবার থেকেই তা পূর্ণ তবে কাজ শুরু হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে। তবে শুধু স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যুর রহস্য তদন্ত করছে করে শেষ করলেই হবে না যাদবপুর থেকে চিরতরে ্যাগিং নামক জিনিসটিকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। এটাই এখন কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমরা মনে করছি।
আজ রবিবার স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান স্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, ‘‘যাদবপুরের ঘটনায় রবিবার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। এক জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক সর্ব ক্ষণ তদন্ত প্রক্রিয়ার তদারকি করছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে মৃত ছাত্রের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তার ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারব বলেই আশা করছি।’’
গত বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান নদিয়ার স্বপ্নদীপ। তাঁকে উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় হস্টেলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। আগেই সৌরভ চৌধুরী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার পর শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত নামের আরও দুই পড়ুয়াকে।
রবিবার থেকে হস্টেলে থাকতে শুরু করেছিলেন স্বপ্নদীপ। বুধবার রাতে তিনি মাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, তাঁর ভয় করছে। হস্টেল থেকে তাঁকে নিয়ে যেতেও বলেছিলেন স্বপ্নদীপ। অভিযোগ, তার পর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রাতে ঠিক কী হয়েছিল? কী ভাবে কোন পরিস্থিতিতে বারান্দা থেকে পড়ে গেলেন স্বপ্নদীপ, অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীতের বক্তব্য দ্রুত এই রহস্যের সমাধান হবে।