কলকাতা 

রাম মন্দির নির্মানের দাবিতে বাংলার যুব সম্প্রদায়কে উজ্জীবিত করতে ‘ হিন্দু সম্মেলন‘ করতে চলেছে ভিএইপি

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে পশ্চিমবাংলায় প্রচারে নামতে চলেছে । অয়োধ্যায় কেন রাম-মন্দির নির্মাণ করা প্রয়োজন তা নিয়ে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়কে উজ্জীবিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে ভিএইচপি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য শাখার মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর সৌরিশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “১৯৯২-এর আন্দোলনের ২৫ বছর হয়ে গিয়েছে। তখন যাঁরা যুবক ছিলেন, তাঁরা এখন বয়জ্যেষ্ঠ। নতুন প্রজন্ম জানেই না রাম মন্দির নিয়ে আন্দোলনটা কী। আমরা সেটা যুব সম্প্রদায়কে জানাব। আমাদের নেতৃত্ব ও কার্যকর্তারা যুবকদের বোঝাবেন, কেন রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির হওয়া দরকার। এই সব বিষয় নিয়েই আমরা হিন্দু সম্মেলন করব। গ্রামে গ্রামে সভা হবে। রাম মন্দিরের লক্ষ্যে পুজো, বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ হবে।”

একই সঙ্গে রাজ্যের প্রায় ২০টি জায়গায় ডিসেম্বর মাসে ‘হিন্দু সম্মেলন’ করে রামমন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চলেছে এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তারা চাইছে, অর্ডিন্য়ান্স জারি করে রাম মন্দির তৈরি করা হোক।

Advertisement

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণের দাবিতে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে প্রায় ২০ টি জায়গায় হিন্দু সম্মেলন করা হবে। একইসঙ্গে বেশ কিছু সম্মলনে বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ হবে। সম্মেলন সফল করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে পরিষদ। বাড়ি বাড়ি প্রচার, দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চলছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বারাসাত, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বসিরহাট সহ ১১ টি জায়গায় এই বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ ও সম্মেলন হবে। উত্তরবঙ্গে ইশ্বরপুর, বুনিয়াদপুর, চাঁচল, মাথাভাঙা সহ ৮ টি জায়গায় ওই সম্মেলন করবে পরিষদ। কলকাতার শহিদ মিনারে ১৫ ডিসেম্বর সম্মেলন করার কথা রয়েছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর সৌরিশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে অর্ডিন্যান্স এনে রাম মন্দির করতে হবে। রাম মন্দির বানাতে আইন আনুক। আমরা ভেবেছিলাম বিচার প্রক্রিয়ার দ্বারাই রাম মন্দির হয়ে যাবে। তা এখনও না হওয়ায় এই পথ নিতে হচ্ছে।” সম্মেলনে কী ধরনের কর্মসূচি রয়েছে পরিষদের? পরিষদ জানিয়েছে, এই হিন্দু সম্মেলনের নেতৃত্বে থাকবেন সাধু-সন্তরা। বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ হবে বেশ কিছু জায়গায়। অনেক ক্ষেত্রে খোলা ময়দানেও এই সম্মেলন হবে। পরিষদের উদ্দেশ্য, যতটা সম্ভব মানুষকে এই হিন্দু সম্মেলনে নিয়ে আসা। পরিষদের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব কয়েকটি সন্মেলনে হাজিরও হতে পারেন। ২০১৯ ভোটের লক্ষ্যে কি এই হিন্দু সম্মেলন? সৌরিশবাবুর বক্তব্য, “আমাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আমরা স্রেফ রাম মন্দির চাই।”

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

eighteen − fifteen =