রাজ্যে নথি জাল করে চাকরি পেয়েছেন ১৮ জন, ১১ জনের কোন নথি পাওয়া যায়নি, সাত জন চাকরি পেয়েছেন মেধা তালিকা বদল করে, নথি জাল করে নিয়োগ! এই মামলার তদন্তে সিআইডির চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পাওয়ার পর ডিআইজি সিআইডিকে তলব কলকাতা হাইকোর্টের
বাংলার জনরব ডেস্ক : অন্য চাকরির প্রার্থীর নিয়োগ পত্রের মেমো নম্বর জাল করে তিন বছর ধরে চাকরি করার জন্য অনিমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সিআইডিকে তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সিআইডি এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রাজ্যজুড়ে ৩৬ জন ভুয়ো শিক্ষকের নাম পেয়েছেন তাদের অধিকাংশ নথি জাল করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। তদন্তে উঠে এসেছে এই ৩৬ জন ভূ-শিক্ষকের মধ্যে ১৮ জন নথি জাল করে চাকরি পেয়েছেন আর এগারো জনের কোন নথি পাওয়া যায়নি।
তদন্তে আরও উঠে আসে যে, সাত জন শিক্ষক মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন। মামলকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং গোপা বিশ্বাস জানান, বুধবার এই মামলায় সিআইডির আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কিন্তু আদালত সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি। তাই ডিআইজি সিআইডিকে তলব করেছেন বিচারপতি। এই রিপোর্ট দেখার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সিআইডির এই তদন্তে সন্তুষ্ট হননি। অসন্তুষ্ট বিচারপতি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় সিআইডির ডিআইজিকে কলকাতা হাইকোর্টে তলব করেছেন।
উল্লেখ্য,বাবা প্রধানশিক্ষক। আর সেই স্কুলেই শিক্ষকের চাকরির জন্য জোচ্চুরি করছেন ছেলে। শুধু তাই-ই নয়, বিনা নিয়োগপত্রে গত ৩ বছর ধরে বেতনও নিয়েছেন। এমনই অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক অনুমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে। সেই মামলায় সিআইডিকে তদন্তভার দিয়েছিল হাই কোর্ট।
ওই চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ ছিল, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ২০১৯ সালে বাবার স্কুলে চাকরি পান অনিমেষ। এবং সেই নিয়োগের সুপারিশপত্র দেন তৎকালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস। অভিযুক্ত অনিমেষের নিয়োগ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তখন জানায়, ওই নামে কোনও নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। সোমার অভিযোগ, তাঁকে বঞ্চিত করে ওই চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ। এর পরই এই মামলায় গত ১৯ জানুয়ারি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।