ট্রেনের স্টপেজের দাবি সহ একগুচ্ছ দাবিতে রবিবার সকাল থেকে রেল অবরোধ মুরারই স্টেশনে, অবরোধ চলাকালীন সময়ে রেলের প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে বের করে দিলেন শাসক দলের স্থানীয় নেত্রী !
বাংলার জনরব ডেস্ক : রবিবার সকাল থেকেই ট্রেনের স্টপেজ বৃদ্ধির সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বীরভূমের মুরারই রেলস্টেশনের অবরোধ করে স্থানীয় নাগরিক কমিটির সদস্যবৃন্দ। এই অবরোধ চলাকালীন সময়ে ওই স্টেশনের প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা এক রেল কর্মীকে ঘর থেকে জোর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। ফাল্গুনী সিংহ নামে ঐ তৃণমূল নেত্রী সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুরারই-১ পঞ্চায়েত সমিতির তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
মুরারই রেলস্টেশনের প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীকে তাঁর ঘর থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। ফাল্গুনী সিংহ নামে ওই নেত্রী সদ্যসমাপ্ত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুরারই-১ পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্য। বীরভূমের ওই রেলস্টেশনে বিক্ষোভের জেরে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে একাধিক ট্রেন। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে নলহাটি জংশনে দাঁড়িয়ে আছে হাওড়া-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাত্রিভোগান্তি চরমে উঠেছে।
রবিবার ‘মুরারই নাগরিক কমিটি’ নামে ওই সংগঠনের অবরোধের ফলে সকাল থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আটকে পড়ে নলহাটি জংশনে। পাশাপাশি, মুরারই স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে সাহেবগঞ্জ-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেন-সহ কয়েকটি ট্রেন। যার জেরে চরমে পৌঁছয় যাত্রিদুর্ভোগ।
অন্য দিকে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, করোনার সময় থেকে মুরারই স্টেশনে বেশ কিছু ট্রেনের স্টপেজ তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকে বেশির ভাগ ট্রেনই ওই স্টেশনে দাঁড়ায় না। কিন্তু ওই স্টেশন থেকে বহু নিত্যযাত্রীর ট্রেন ধরার থাকে। দিনের পর দিন যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে তাঁদের। এ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় তাঁরা ক্ষুব্ধ।
মুরারই স্টেশনে অবরোধের সময় প্যানেল অপারেটিং-এর দায়িত্বে ছিলেন এক রেলকর্মী। তিনি ওই লাইন দিয়ে যাতায়াত করা সমস্ত ট্রেনের গতিবিধির উপর নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন প্যানেল অপারেটর। বিক্ষোভের সময় তৃণমূল নেত্রী ফাল্গুনী কয়েক জন অবরোধকারীকে সঙ্গে নিয়ে প্যানেল অপারেটরের ঘরে ঢুকে পড়েন। তাঁর চেয়ার থেকে তুলে বাইরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
অন্য দিকে, অবরোধ মুরারই স্টেশনে বিক্ষোভ চললেও তার আগে এবং পরের স্টেশনে আসা-যাওয়া করা ট্রেনগুলির উপর নজরদারি রাখা জরুরি। সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীকে বার করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রেলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।