মুসলিম মন পেতে ফুরফুরার উন্নয়নে বরাদ্দ সাড়ে ৫৮ কোটি! মুসলিম সমাজের সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা না করে ফুরাফুরার জন্য বরাদ্দ করলে লাভ হবে মমতা!
বাংলার জনরব ডেস্ক : দাদা হুজুর পির কেবলার স্মৃতি বিজড়িত ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ফুরফুরার উন্নয়নে মোট ৬২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৯২ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে ওই অর্থ খরচ করা হবে। বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে ফিরহাদ এ কথা বলার পর ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা তথা ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি প্রশ্ন তোলেন, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের অফিস কোথায়? জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘এখনও কোনও অফিস আমরা পাইনি। ওখানে একটা পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই অফিস হবে। ফুরফুরা শরিফের গেটের পাশে যে জমি রয়েছে সেখানেই অফিস, মুসাফিরখানা হবে। আপাতত শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে।’’
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে ফুরফুরা পবিত্র স্থান। সেখানকার পিরজাদা তথা হুজুরদের ঘিরে আবেগও দুই বাংলাতে রয়েছে।এই অবস্থায় নওশাদকে বিনা কারণে ৪২ দিন জেলে রাখার পর ফুরফুরার ভক্তদের কাছে এই মুহুর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার ভিলেনে পরিণত হয়েছে। খোদ দল নেত্রী বাঙালি মুসলিম সমাজে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। এই অবস্থা ঘুরে দাঁড়ানোর ফুরফুরার উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৫৮ কোটি বরাদ্দ করে এই রাজ্যের মুসলিমদের অন্য গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে আঘাত দেওয়া হয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে । কারণ মুখ্যমন্ত্রী মনে রাখা উচিত ফুরফুরা শরীফ এ রাজ্যের বাঙালি মুসলমানদের প্রতিনিধি নয়।।
রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নেই, পরিকাঠামো ভালো নেই সেদিকে লক্ষ্য না দিয়ে সস্তায় বাজিমাত করার চেষ্টা করছে মমতা সরকার। এর ফলে হিতে বিপরীত হাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। তাই শুধু ফুরফুরার উন্নয়নের কথা মুসলিম মন পাওয়া তো দূর অস্ত !