সাংসদদের আচরণে ‘গভীরভাবে মর্মাহত’ লোকসভা বয়কট স্পিকারের ?
বাংলার জনরব ডেস্ক : সাংসদদের ব্যবহারে আচরণে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তাই আপাতত তিনি গান্ধী নীতি অনুসরণ করলেন এতদিন ধরে সাংসদদের সাসপেন্ড মার্শাল দিয়ে সংসদের পক্ষ থেকে বের করে দেয়া যে নীতি নিয়েছিলেন স্পিকার তা থেকে ব্যতিক্রম নীতি গ্রহণ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা। গান্ধী আদর্শকে গ্রহণ করে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপাতত লোকসভায় আর যাবেন না। সূত্রের খবর বুধবার ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেন, ‘‘যতক্ষণ না সাংসদরা তাঁদের মর্যাদা এবং সভার গরিমা বজায় রাখার মতো আচরণ না-করছেন, তত দিন অধিবেশনে যোগ দেব না।’’
ঘটনাচক্রে, বুধবার বাদল অধিবেশনে যোগ দেননি ওম। যদিও তাঁর অনুপস্থিতে লোকসভায় মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে হট্টগোল চালিয়ে যান ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদের। ‘জবাব’ আসে শাসক শিবিরের তরফেও। দু’শিবিরে স্লোগান, বচসার মধ্যেই দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। ওমের এই ‘লোকসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত’ প্রকাশ্যে আসার পরেই বুধবার শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা— তবে কি আগামী ৮-১০ অগস্ট নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কপর্ব পরিচালনা করবেন স্পিকার?
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর পর থেকেই মণিপুরকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে দফায় দফায় লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। স্পিকারের বার বার আবেদন সত্ত্বেও সভায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরেনি। ওমের অনুপস্থিতিতে বুধবার লোকসভার অধিবেশন পরিচালনা করেন বিজেপি সাংসদ কিরীট সোলাঙ্কি।