মনিপুরে শান্তি ফেরাতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাইলেন বিরোধীদলের ২১ সাংসদ
বাংলার জনরব ডেস্ক: মণিপুরের পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে মোদি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সাংসদরা সফর করছেন। আজ রবিবার সফরের দ্বিতীয় দিনে মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এই সাংসদরা। এই দলে ২১ জন সাংসদ রয়েছেন। বিরোধী দলের এই সাংসদরা রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার হাতে মণিপুরে শান্তি প্রেরণার দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন।
ওই স্মারকলিপিতে বিরোধী সাংসদরা বলেছেন, মণিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ংকর থেকে ভয়ংকরতর হচ্ছে। ওই স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, মণিপুরে ত্রাণ শিবিরগুলি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। একেকেটা বড় ঘরে ৪০০-৫০০ জনকে রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকার কেবল চাল আর ডাল দিচ্ছে। কিন্তু ছোটদের খাওয়ার মতো কিছু নেই। দ্রুত ছোটদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা দরকার। ” বিরোধীদের দাবি, গত ৮৯ দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মণিপুর নিয়ে মৌনব্রত নিয়েছেন, তাতেই বোঝা যায়, মণিপুর নিয়ে তাঁর মানসিকতা কী।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) বক্তব্য,”আমরা রাজ্যপালকে মণিপুরের দুরবস্থার কথা জানিয়েছি। উনিও আমাদের সঙ্গে সহমত। রাজ্যপালও চান সরকার সবার সঙ্গে কথা বলুক। সব দলকে নিয়ে একটি প্রতিনিধিদল গড়ে মণিপুরে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন। এবং সব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন।” অধীর জানান, রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে রাজ্যপালের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে সংসদে যাতে দ্রুত তাঁদের অনাস্থা প্রস্তাবে আলোচনা হয়, সে দাবিও জানিয়ে রেখেছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে দিল্লি থেকে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিদল মণিপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। তাঁরা বেলা বারোটা নাগাদ ইম্ফলে পৌঁছেই দু’ ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন। এক এলাকার গাড়ি অন্য এলাকাতে ঢুকতে পারছে না। সে কারণে ভরসা কেবল হেলিকপ্টার। কিন্তু কপ্টার মিলেছে একটাই মাত্র। একদল পাহাড়ি অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকিদের সঙ্গে দেখা করে। অন্যদলটি উপত্যকায় মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেখা করে। উপত্যকার ইম্ফল থেকে পাহাড়ের চূড়াচাঁদপুর– দুই প্রতিনিধিদল সর্বত্র গিয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে মহিলা ও শিশুদের করুণ পরিস্থিতি দেখে স্তম্ভিত তাঁরা। আজ, সকালে মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিদল দেখা করেছে। এদিন আরও কিছু স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তাঁরা।