সস্ত্রীক বিদেশ যাত্রায় অভিষেককে অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত, লুক আউট নোটিশ প্রত্যাহার করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
বাংলার জনরব ডেস্ক : মাসখানেক আগে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশ যাওয়ার পথে বিমানবন্দরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকে দিয়েছিল অভিবাসক দফতর।ইডির (ED) আপত্তিতেই রুজিরার বিদেশযাত্রা হয়নি সেবার। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলায় দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না, এমনই বলা হয়েছিল ইডির তরফে। যদিও রুজিরা আগেই ইডিকে বিদেশযাত্রার কথা জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। সেই ঘটনার জন্য এবার ইডি ক্ষমা চাইল শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)। সূত্রের খবর, ইডির অবগতিতেই সেবার সন্তানদের নিয়ে বিদেশ যাচ্ছিলেন রুজিরা। তাঁকে আটকানো ঠিক হয়নি। পাশাপাশি রুজিরার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও প্রত্যাহার করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দু’মাস পর ফের মামলার শুনানি।
পাশাপাশি এদিন ইডি সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রায়ও কোনও বাধা নেই। ইডিকে এক সপ্তাহ আগে জানালেই হবে। এই মুহূর্তে অভিষেক চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা (USA)গিয়েছেন। এই বিদেশযাত্রা নিয়ে তিনি ইডি এবং আদালতকে আগে থেকে জানিয়েছিলেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার বড় স্বস্তি মিলল তাঁর।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কউল ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। অভিষেক-রুজিরার হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে বিদেশ গিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী। তা জেনে ইডির কাছে বিচারপতিদের প্রশ্ন, অভিষেকের বিরুদ্ধে কি লুকআউট নোটিস আছে? তাতে ইডির জবাব, শিথিল হয়েছে শর্ত। বিচারপতি জানান, বিদেশ চলে গিয়েছেন অথচ লুক-আউট নোটিস, ব্যাপারটা পরস্পরবিরোধী। এরপরই বিচারপতিদের নির্দেশ, লুক-আউট নোটিস প্রত্যাহার করতে হবে।
গত ৫ জুন, থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমদম বিমানবন্দরে আটকায় অভিবাসন দপ্তর। যুক্তি হিসেবে ইডির নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। সন্তানদের নিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসেন রুজিরা। এর ফলে কার্যতর দেশের শীর্ষ আদালতে মুখ পুড়ল কেন্দ্রীয় এজেন্সির। এদিকে লুকআউট নোটিশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রী বিদেশ চলে গেলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই এর পেছনে দিদি মোদি সেটিং এর গল্প আছে বলে মনে করছে।