‘সরকার পদক্ষেপ না করলে আমরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করব’ মনিপুরের সহিংসতা নিয়ে হুঁশিয়ারি প্রধান বিচারপতির
বাংলার জনরব ডেস্ক : দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে এবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষ করে দুদিন আগে মনিপুরের দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনাটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট করা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অবিলম্বে এ নিয়ে কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের হুঁশিয়ারি, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।’’ শুক্রবার আবার এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।
বুধবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মণিপুরের ওই ভিডিয়ো ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। ছবিটি গত ৪ মে তোলা বলে দাবি মণিপুর পুলিশের। থৌবল জেলায় নংপোক সেকমাই থানার অদূরে ওই দুই মহিলার উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। যদিও একটি সংগঠনের দাবি, ঘটনাটি কঙ্গপকপি জেলার। বিরোধীদের দাবি, ঘটনার কয়েক দিন পরেই এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
তবে বুধবার ওই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরেই ‘সক্রিয়’ হয়েছে বিজেপি শাসিত মণিপুরের পুলিশ। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। অপরাধীদের যাতে মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়, তা নিশ্চিত করব আমরা।’’
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই কুকি, জ়ো-সহ বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই হিংসার সূচনা হয় সেখানে।