দেশ 

অর্ডিন্যান্স ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করতে উপরাজ্যপাল ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : আমলাদের নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ডিন্যান্স নিয়ে বিরোধ মেটাতে দিল্লির উপর রাজ্যপাল কে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মেটানোর পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট।সোমবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় যুযুধান দু’পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক মতভেদের ঊর্ধ্বে উঠে অচলাবস্থা কাটাতে আপনারা কি মুখোমুখি আলোচনায় বসতে পারেন না?’’ বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা। তার আগে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে দু’পক্ষকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ হাতে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করেছিল শীর্ষ আদালতেই তা চ্যালেঞ্জ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান কেজরীওয়াল। গত ৩০ জুন দিল্লি সরকারের তরফে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের জেরে দিল্লির ‘ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন’-এর চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে বলে সরকার পক্ষের তরফে অভিযোগ করায় সোমবার ‘আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্রের সন্ধান করার’ কথা বলেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। পাশাপাশি, জানানো হয়েছে, যে হেতু কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ২৩৯এএ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অর্ডিন্যান্স জারি করেছে, তাই সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি স্থানান্তরিত হওয়া উচিত।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। এর পর হঠাৎ গত ১৯ মে গভীর রাতে অর্ডিন্যান্স এনে ১০ পাতার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাতে বলা হয়, ‘জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা হচ্ছে। আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। অধ্যাদেশে জানানো হয়, (দিল্লির) মুখ্যমন্ত্রী হবেন এর চেয়ারপার্সন। সদস্য হিসেবে থাকবেন মুখ্যসচিব এবং প্রিন্সিপাল স্বরাষ্ট্রসচিব। নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত এই কর্তৃপক্ষ ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত করবেন। মতবিরোধ হলে শেষ কথা বলবেন উপরাজ্যপাল।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ